সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ‘বিশ্বভারতীর শিক্ষার মান নেমেছে। স্বাভাবিক কারণে পঠনপাঠন এবং গবেষণায় আমরা অনেক পিছিয়ে।’ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা স্বীকার করে নিলেন খোদ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অধঃপতনের কথা স্বীকার করে নিয়েও নিজেদের অপদার্থতা ঢাকতে নানাভাবে আক্রমণের পথেই হাঁটছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাতে জমির কাগজপত্র দিয়ে আসার পরও অমর্ত্য সেনকে অপদস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায় বিরাম দিচ্ছেন না।
আরও পড়ুন-নেতাজির স্মৃতিবিজড়িত বোস হাউস মিশনকে দান
বারবার নোটিশ পাঠিয়ে বিব্রত করছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে। এর পাশাপাশি সমালোচনার ভূত তাড়া করে বেড়াচ্ছে উপাচার্যকে। পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের পাশাপাশি এবার বিশ্বভারতী উপাচার্যের যত রাগ গিয়ে পড়ল আশ্রমিক, রাবীন্দ্রিক ও প্রাক্তনীদের ওপর। আর তা করতে গিয়ে স্থান, কাল, পাত্রও ভুলে গেলেন। ওঁদের অপরাধ, উপাচার্যের স্বৈরাচারী কাজকর্মের প্রায়শই সমালোচনা করে থাকেন। তাই বুধবারের সাপ্তাহিক মন্দির অনুষ্ঠানে উপাসনাগৃহে উপাচার্য তাঁর ভাষণে কড়া সমালোচনা করেন আশ্রমিক, রাবীন্দ্রিক ও প্রাক্তনীদের।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর সভা, উদ্দীপ্ত পুরুলিয়া
বলেন, ২০১৯ সাল থেকে আশ্রমিকদের বছরখানেক তিনি দেখেননি। একটি নথি হাতে নিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, ১৯-এর ১৪ অক্টোবর তিনি আশ্রমিকদের ডাকেন। শ’খানেক আশ্রমিক, রাবীন্দ্রিক ও প্রাক্তনী সেই তালিকায় ছিলেন। তাঁরা প্রায় ৩০টির মতো দাবি আমার হাতে দেন। যেগুলোর মধ্যে ছিল শুধু ‘দিতে হবে’। আমাদের আশ্রমে অনুষ্ঠান করতে দিতে হবে, আমাদের গেস্ট হাউসে থাকতে দিতে হবে ইত্যাদি। আমিও তাঁদের কয়েক দফা দাবি তুলে দিই। তাঁদের সাথে কথা বলে বুঝলাম, তাঁরা অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এসেছেন। আমি সেখানে বলি, অধিকারের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব ও কর্তব্য চলে আসে। সেগুলো আপনাদের পালন করতে হবে। তারপরই তাঁরা নীরব হয়ে যান। উপাচার্যের এই ভাষণের পর অনেক আশ্রমিক ও প্রাক্তনীই মুখ খুলেছেন। সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আশ্রমিকদের গালমন্দ করা উপাচার্যের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে পড়ে। এখন উপাসনা গৃহকেও উনি ছাড়ছেন না।