সোমবার, বিধানসভায় (Bidhansabha) দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর মুখোশ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। নন্দীগ্রামে গণহত্যার কোথায় ছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নন্দীগ্রাম (Nandigram) আন্দোলনে ছিলেনই না শুভেন্দু। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর কথায় তৎকালীনা তমলুকের সিপিআইএম (CPIM) সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের (Lakshman Sheth) সঙ্গে বোঝাপড়া করেছিলেন শুভেন্দু!
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিধানসভা থেকে শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব প্রত্যাহার
বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের উপরে এ দিন বিধানসভায় বক্তব্য পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর বক্তব্য নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ জারির নির্দেশ দেন স্পিকার। বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি। এরপরে বলতে উঠে নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে শুভেন্দুকে কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তিনি যখন নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন তখন ‘ওরা’ লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে সেটিং করছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাবাকে মন্ত্রী করা হয়েছিল বলে সেবার শপথগ্রহণে যায়নি। ওরা জোতদার, জমিদারের মতো মানুষ হয়েছে।“ শুভেন্দুর নাম না করে মমতা বলেন, “তৃণমূলের নামে দিয়ে দোষ, সাধু সাজছে গদ্দার ঘোষ।“
আরও পড়ুন-স্পিকারকে ‘অপমান’ বিরোধী দলনেতার, শুভেন্দুর হয়ে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ থেকে বিজেপি পরিষদীয় দল ওয়াকআউট নিয়ে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “উত্তর দিতে পারবে না বলেই পালিয়ে গিয়েছে।“