নয়াদিল্লি : আজব কাণ্ড বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে। রেললাইন সম্প্রসারণের প্রয়োজনে মন্দির ভাঙতে রেলের তরফে নোটিশ দেওয়া হল খোদ বজরংবলীকেই। মধ্যপ্রদেশের মোরেনায় রেল দফতরের এই অদ্ভুত কাণ্ড সামনে আসতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মন্দিরে অধিষ্ঠিত ভগবান বজরঙ্গবলীকে কীভাবে নোটিশ পাঠাতে পারে রেল বিভাগ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনকী সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, এই নোটিশে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে বজরংবলীকে দোষী সাব্যস্ত করে সাতদিনের মধ্যে ওই এলাকার দখল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে রেল দফতরের সতর্কবার্তা, যদি ওই এলাকা দখলমুক্ত না করা হয়, তাহলে রেল কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং জেসিবি দিয়ে পরিকাঠামো ভাঙচুর করতে যে ব্যয় হবে তার খরচ বজরংবলীর থেকেই আদায় করা হবে। হনুমানজির কাছে এভাবে নোটিশ পাঠানোর আজব ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিজেপি রাজ্যে।
আরও পড়ুন-২ বিচারপতির শপথ
বিতর্কিত নোটিশটিতে কী বলা হয়েছে? জানা গিয়েছে, ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হনুমানজি আপনি বেআইনিভাবে ভারতীয় রেলের জমি দখল করে রেখেছেন। সাতদিনের মধ্যে তা ছেড়ে দিন। আপনি এনিয়ে পদক্ষেপ না নিলে প্রশাসনই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। এই প্রসঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার ও জিআরপির কাছেও নোটিশের কপি পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে রেলের আজব নোটিশ। নোটিশে আরও সংযোজন করা হয়েছে, এলাকা দখলমুক্ত করতে যে খরচ হবে তা হনুমানজির কাছ থেকেই নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, গোয়ালিয়র-শেওপুর ব্রডগেজ লাইনের কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৩
সেই লাইন যেখান দিয়ে যাচ্ছে সেখানেই রয়েছে বজরংবলীর মন্দির। রেলের জায়গার উপরেই মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই মন্দিরটি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় রেল। এদিকে রেলের আধিকারিকদের একাংশের মতে, এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। ঝাঁসি রেলওয়ে বিভাগের জনসংযোগ আধিকারিক মনোজ মাথুর জানিয়েছেন, রেলের জায়গার উপর কোনও পরিকাঠামো তৈরি করা হলে যেভাবে নোটিশ পাঠানো হয় সেভাবেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এটা একেবারই স্বাভাবিক বিষয়। তবে হনুমানজিকে কেন এই চিঠি লেখা হল সেই প্রসঙ্গে ঝাঁসি রেল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি।