সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : ভোটে জেতার জন্য নোংরা রাজনীতি করে বিজেপি (BJP)। আর তৃণমূল (TMC) সারা বছর মানুষের পাশে থেকে তাদের জন্য কাজ করে। সেজন্য তৃণমূলকে কোনও রাজনীতি করতে হয় না। বিজেপি মানুষের জন্য কোনও কাজ করে না, বরং গরিব মানুষকে উচ্ছেদ করে। সম্প্রতি দুর্গাপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত প্রতিবাদ সভা থেকে এমনই তীব্র ভাষায় কেন্দ্রের শাসক দলকে আক্রমণ করেন প্রাক্তন বিধায়ক ও তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ পারিয়াল (Biswanath Parial)। দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই ও বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়াকে এক বন্ধনীতে ফেলে তাঁদের বিরুদ্ধেও তীব্র বিষোদগার করেন বিশ্বনাথবাবু (Biswanath Parial)। তাঁর প্রশ্ন, জেলায় অসংখ্য কলকারখানা বন্ধ। এই শিল্পাঞ্চলের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কত টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র? একটি কানাকড়িও নয়। পশ্চিমবঙ্গের অতিগুরুত্বপূর্ণ এই শিল্পাঞ্চলকে এভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে আলুওয়ালিয়া ক’দিন সংসদে সরব হয়েছেন? বিধায়ক ক’টা চিঠি লিখেছেন এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে? কেন চার বছরে একবারের জন্যও সাংসদকে চোখের দেখা দেখতে পাননি এলাকার মানুষ? বিধানসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরাএ রাজ্যে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন, আজ কেন রাজ্যের জন্য বাজেটে শিল্পখাতে একটি পয়সাও বরাদ্দ হল না? তিনি বলেন, ‘‘আজ যখন রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজেছে, তখন আবার বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করতে আসরে নেমে পড়েছে। শুরু হয়ে গেছে হিন্দু-মুসলিম, জাতপাতের ঘৃণ্য রাজনীতি। নতুন করে তোলা হচ্ছে এনআরসি, সিএএ-র মতো সাম্প্রদায়িক রঙে ছোপানো বিতর্কগুলি। শুরু হয়েছে ধর্মের নামে অধর্ম প্রতিষ্ঠার অক্ষম প্রয়াস।’’ দুর্গাপুর স্টেশন এলাকায় বসবাসকারী দরিদ্র মানুষদের উচ্ছেদের চেষ্টা হলে ভারতীয় রেল এবং কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিশ্বনাথবাবু।
আরও পড়ুন: দেউচার কাজ হচ্ছে পুরোদমে : প্রশাসন