প্রতিবেদন : চলছে অস্ত্রোপচার। অপারেশন থিয়েটারের টেবিলে শুয়ে রয়েছেন রোগী। আর তাঁর সামনেই ওটিতে বচসার জেরে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন অপারেশনের দায়িত্বে থাকা দুই চিকিৎসক। অপারেশন থামিয়ে রেখে এক চিকিৎসক মারতে ছুটলেন আর এক চিকিৎসককে।
আরও পড়ুন-খেতাবি ম্যাচ ১৮ মার্চ, আইএসএল ফাইনাল পেল গোয়া
কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের এই নজিরবিহীন ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চিকিৎসক মহলে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। ওই নিন্দাজনক ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই চিকিৎসক সমাজই নিন্দায় সরব হয়েছেন। সূত্রের খবর, ওইদিন বিকেলে হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার বিভাগে বীরভূমের বাসিন্দা সৌরভ শীলের অস্ত্রোপচার চলছিল। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বে চলছিল অস্ত্রোপচার। সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে সৌরভের বাঁ হাতের কনুইয়ের জয়েন্টের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। সেই হাতেই অস্ত্রোপচার হচ্ছিল। চারজন চিকিৎসক ছিলেন ওই দলে।
আরও পড়ুন-নারী-শিশু-সমাজকল্যাণ দফতরের প্রশংসনীয় উদ্যোগ, ৩ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজার রাজ্যে
কিন্তু অভিযোগ, রোগীর হাতে ২২ ও ২৪ নম্বর স্ক্রু লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত এক চিকিৎসক ভুল করে ১৬ ও ১৮ নম্বর স্ক্রু লাগিয়ে দেন। সঙ্গী আর এক চিকিৎসক এর প্রতিবাদ করেন। তিনি সঠিক স্ক্রু লাগাতে বলেন। যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে শোনা গিয়েছে, অন্য আরও এক চিকিৎসক তাঁকে ২২ আর ২৪ নম্বর স্ক্রু লাগিয়ে দিতে বলছেন। তখন আর এক চিকিৎসক পরামর্শ দেন, এইভাবে স্ক্রু লাগালে রোগীর হাড় দুর্বল হবে। তখন ১৬ নম্বর স্ক্রু খুলে ২০ নম্বর স্ক্রু লাগানো হয়। এই নিয়ে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন ওই চিকিৎসকরা। তারপরই শুরু হাতাহাতি। ওটিতে তখনও ব্যান্ডেজ পরা অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন রোগী, পাশে তখনও চালু অবস্থায় হাড় ফুটো করার মেশিন। লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া করার কারণে ওটিতে যা ঘটছিল সবই দেখতে পান ওই রোগী। গোটা ঘটনায় তিনিও তাজ্জব। তবে এই ঘটনা নিয়ে হাসপাতালের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।