নয়াদিল্লি : সাম্প্রতিক তুরস্ক-সিরিয়ার (Turkey- Syria) ভূমিকম্পের বিভীষিকা এখনও টাটকা। এরই মধ্যে বুধবার দুপুরে আতঙ্ক ফিরিয়ে এনে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি (Earthquake- Delhi) এবং উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালের জুমলা থেকে ৬৯ কিলোমিটার দূরে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল মাটির ১০ কিমি গভীরে। তবে এখনও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে ভূমিকম্প অনুভূত হয় হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এইসব রাজ্যের বাসিন্দারাও। প্রতিবেশী দেশ নেপাল বেশ কয়েক মাস ধরেই ঘনঘন ভূমিকম্পের সাক্ষী হচ্ছে। এর আগে ২৪ জানুয়ারি নেপালে ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৮। দিল্লির (Earthquake- Delhi) মতো উত্তরাখণ্ডেও (Uttarakhan) একই সময়ে কম্পন অনুভূত হয়। রাজ্যের পিথোরাগড় থেকে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ১৪০ কিলোমিটার উত্তরে।
আরও পড়ুন:এবার যোগী সরকারের রোষে ভোজপুরী গায়িকা
তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞের ছবি এখনও সকলের মনে টাটকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব শিগগিরই একই মাত্রার বা তার থেকেও শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে ভারতেও। ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা এনজিআরআই জানিয়েছে, শিগগিরই একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠতে পারে হিমালয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং নেপালে বড় ক্ষতি হতে পারে। আবহাওয়াবিদ ও ভূতত্ত্ববিদরা আশঙ্কা করছেন, আগামী দিনে ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে চলেছে৷ প্রতি বছর প্রায় পাঁচ সেমি করে টেকটনিক পাত এগিয়ে আসছে৷ যার পরিণতি হতে পারে ভয়ঙ্কর। এর ফলে হিমালয়ে ক্রমেই ভয় বাড়ছে এবং ভারতের উপরে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের বিপজ্জনক ছায়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবারই ন্যাশন্যাল জিও ফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান বিজ্ঞানী এবং ভূমিকম্প বিশারদ ড. এন পূর্ণচন্দ্র রাও এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ ভু-বিজ্ঞানীদের এই আশঙ্কার মধ্যে উত্তর ভারত জুড়ে লাগাতার কম্পনে মানুষ আতঙ্কিত।