প্রতিবেদন : রাজ্যে বিধবা, বয়স্ক ভাতা এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা প্রাপকের সংখ্যা গত ৪ বছরে ৩০ গুণ বেড়েছে বলে রাজ্য সরকার (West Bengal Government) জানিয়েছে। রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) সম্প্রতি বিধানসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, এই তিনধরনের ভাতা প্রাপকের সংখ্যা রাজ্যে এখন প্রায় সাড়ে ৩৮ লক্ষ। গত ৪ বছরের মধ্যে ভাতাপ্রাপকের সংখ্যা ৩০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে বাংলার বুকে যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান তাঁদের ৬০ বছর বয়সের পরেই তাঁরা বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার যোগ্য বলে গণ্য হবেন। সেই ভাতার জন্য আর আলাদা করে দরখাস্ত করতে হবে না। প্রতি মাসে তাঁরা তখন ১ হাজার টাকা করে পাবেন। রাজ্যে এখন বিধবা ভাতা পাচ্ছেন ১৫ লক্ষ ৫৪৬ জন। বয়স্ক ভাতা প্রাপকের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৫৭ জন। মানবিক ভাতা প্রাপকের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৫১ হাজার ৭০৫ জন। ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও কোটা নির্ধারণ করা হয়নি। ভাতা দেওয়া হয় চাহিদা অনুযায়ী। আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করা হয়। মানবিক ভাতা প্রাপকদের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশের বেশি শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মেডিক্যাল সার্টিফিকেট থাকা জরুরি। রাজ্য বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অপূর্ব সরকার রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজাকে (Shashi Panja) প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘বহু মহিলা স্বামী পরিত্যক্তা বা শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে দুর্দশার মধ্যে জীবনযাপন করছেন। তাঁরা বিধবা বা বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না। এই ধরনের মহিলাদের কল্যাণের জন্য সরকার কী ভাবছে?’’ তাঁর উত্তরেই মন্ত্রী জানান, স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যুক্ত হওয়া ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মহিলাদের পুনর্বাসন ও আইনি সাহায্য দেওয়ার বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে রাজ্যে। সেই সব দিয়েই তাঁদের সাহায্য করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মন্ত্রী এটাও জানান, ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম ২,৯৩১ জন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সুপারভাইজার নিয়োগ করা হচ্ছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজকর্ম এতে ভাল হবে। তবে মামলা করার জন্য বহু জায়গায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মী নিয়োগ করা যাচ্ছে না। বিরোধী দলের তিনজন বিধায়কও মামলা করেছেন। নিয়োগ আটকে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট মা ও শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।
আরও পড়ুন: ট্রাফিক গার্ডের ওসির জন্যই সঠিকসময় পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থী!