প্রতিবেদন : হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ধনকুবের গৌতম আদানির কোনও কিছুই ঠিকঠাক চলছে না। গত একমাসে শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার ১২ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। হাতছাড়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প। এবার আদানিদের বিরুদ্ধে পুরনো মামলার খোঁজখবর শুরু করেছে সরকারি সংস্থা স্পেশাল ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস (এসএফআইও)। গৌতম আদানির বিরুদ্ধে এক দশক আগের ৩৮৮ কোটি টাকার জালিয়াতি মামলার তদন্ত পুনরায় চালু করার জন্য বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এসএফআইও।
আরও পড়ুন-ধার করেই ধারের বোঝা নামাতে চায় আদানিরা
স্পেশাল ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস বোম্বে হাইকোর্টে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে চলা মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছে। ওই আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি আওসাত এসএফআইও’র আইনজীবীকে বলেন, এতদিন ধরে আপনাদের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। হঠাৎই আদানির বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠল। তারপরই আপনিও তাঁকে অনুসরণ করলেন। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, হঠাৎই কেন আপনাদের ঘুম ভাঙল?
আরও পড়ুন-হাতির হামলায় জখম শিশুর পাশে বীরবাহা
২০১২ সালে বিশেষ জালিয়াতি দমন শাখা গৌতম আদানি-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। অভিযোগ ছিল, কেতন পারেখ নামে এক ব্যক্তিকে তহবিল সরবরাহ করেছিলেন আদানি। ওই টাকা দিয়ে বেআইনি কাজকর্ম চালানো হত। তবে ২০১৪ সালের মে মাসে, ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আদানি এবং অন্যান্য অভিযুক্তকে খালাস ঘোষণা করে। তবে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর দায়রা আদালত ম্যাজিস্ট্রেটের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়। দায়রা আদালত জানায়, তদন্ত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, কেতন পারেখ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লাভবান হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-শিশুদের মাঝে শিক্ষিকার ভূমিকায় সাংসদ
দায়রা আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন গৌতম আদানি। ওই আবেদনে বলা হয়, দায়রা আদালতের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভুল। এসএফআইও’র অভিযোগ ঠিক নয়। তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। গৌতম আদানির আবেদনের প্রেক্ষিতে বোম্বে হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সেশন কোর্টের আদেশের উপর ১৩ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করে। পরে তা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আদানিদের নিয়ে হইচই শুরু হতেই এক বছর পর এখন হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য পদক্ষেপ করল এসএফআইও। আর তা নিয়েই কটাক্ষ করেছেন বিচারপতি। ১৮ এপ্রিল এই মামলার শুনানি হবে।