প্রতিবেদন : গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা যে কতটা নিকৃষ্ট হতে পারে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নিজের আইনজীবী তথা সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় বসু কীভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হয়রানির শিকার হচ্ছেন, বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকদের সামনে তা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ক্ষোভ, তল্লাশির নামে ইডি অযথা হেনস্থা করছে সঞ্জয় বসুকে। বুধবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে ওই আইনজীবীর বাড়িতে।
আরও পড়ুন-সপ্তাহে পাঁচদিন খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক পরিষেবার সময় বাড়তে চলেছে
বৃহস্পতিবার মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা পর্যন্ত চলেছে সেই অভিযান। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, এটা কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়? প্রশ্ন তুললেন অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও। তীব্র ক্ষোভ এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি তাঁর আশঙ্কা, সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করা হবে অনেককেই। উদ্দেশ্য স্পষ্ট, মানুষের ভোট লুঠ করা। এটা ওদের স্বভাব। ইঙ্গিত স্পষ্টতই বিজেপির দিকে। ইভিএম নিয়েও এদিন গভীর সংশয় মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমি সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসা করেছি, ওরা কিছু পেয়েছে কিনা।
আরও পড়ুন-মেট্রোয় সৌরশক্তি বাঁচবে ৬২ লাখ টাকা
সঞ্জয় বললেন, কিছুই পায়নি। কিছু নিয়েও যায়নি। শুধু আপনাদের ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিল। আর তছনছ করে গিয়েছে আমার ঘর। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, সঞ্জয় সরকারি আইনজীবী, আমারও আইনজীবী। তাঁর বাড়িতে অনেক সরকারি কাগজপত্র রয়েছে, যেগুলো খুবই কাজে লাগে। একজন আইনজীবী তাঁর মক্কেলের কাছে টাকা নেবেন, এটা তো তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার। একটা কেসে তো তিনি টাকা ফেরতও দিয়েছেন। আসলে হেনস্থার উদ্দেশ্যেই এই তল্লাশি অভিযান। সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় বসু এবং অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতাতেই স্পষ্ট গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রকৃত উদ্দেশ্য।