প্রতিবেদন : আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের করা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার জন্য কয়েকদিন আগে সুপ্রিম কোর্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভয় মনোহর সাপ্রের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিতে ৬ জন সদস্য রয়েছেন। ওই কমিটির অন্যতম সদস্য হলেন আইনজীবী সোমশেখর সুন্দরেশান।
আরও পড়ুন-নিকৃষ্টতম স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় ভারত, আন্তর্জাতিক সমীক্ষার রিপোর্ট
এই সুন্দরেশানের নাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে সংঘাত চলছে। কলেজিয়াম বিচারপতি হিসেবে সোমশেখর সুন্দরেশানের নাম প্রস্তাব করলেও কেন্দ্রীয় সরকারের আইনমন্ত্রক এখনও ওই নামটি অনুমোদন করেনি। কিন্তু আদানিদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটিতে সোমশেখরের নাম রেখে শীর্ষ আদালত বুঝিয়ে দিল, কেন্দ্র ভরসা না রাখতে পারলেও ওই আইনজীবীর প্রতি সর্বোচ্চ আদালতের আস্থা ও বিশ্বাস অটুট রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত কার্যত মোদি সরকারের আইন মন্ত্রককে ‘বার্তা’ বলে অনেকেই মনে করছেন।
আরও পড়ুন-নিকৃষ্টতম স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় ভারত, আন্তর্জাতিক সমীক্ষার রিপোর্ট
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রথমবার বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য সোমশেখর সুন্দরেশানের নাম পাঠায় সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। এরপর ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ফের সোমশেখরের নাম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র শীর্ষ আদালতের সুপারিশ অনুমোদন করেনি। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম সোমশেখরের নাম পুনর্বিবেচনা করতে বলে কেন্দ্রকে। কেন্দ্রের আপত্তির কারণ, সোমশেখর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে মুলতুবি মামলার বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছন। যা ঠিক নয়।
আরও পড়ুন-মাফিয়াদের হাতে আক্রান্ত টহলরত বনকর্মীরা, অসম থেকে পাচারকারী ঢুকছে বাংলায়
কলেজিয়াম সরকারের এই যুক্তিকে নস্যাৎ করে পাল্টা জানায়, কোনও বিষয়ে প্রার্থীর মতামত তাঁর অযোগ্যতার কারণ হতে পারে না। সোমশেখর ১৯৯৬ সালে মুম্বইয়ের গভর্নমেন্ট ল কলেজ থেকে আইনে স্নাতক হয়েছেন। তিনি ৫ বছর সাংবাদিকতাও করেছেন। দেশের শীর্ষ কর্পোরেট আইনজীবীদের মধ্যে সোমশেখরের নামটি অন্যতম। এবার তাঁর নাম আদানিকাণ্ডের কমিটিতে রেখে কেন্দ্রকে পাল্টা বার্তা দিল শীর্ষ আদালত।