নিকৃষ্টতম স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় ভারত, আন্তর্জাতিক সমীক্ষার রিপোর্ট

আর এক্ষেত্রে দেশের ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণু পরিস্থিতির জন্য সরাসরি আঙুল তোলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানাকে।

Must read

প্রতিবেদন : মোদি সরকারের তথাকথিত সাফল্যের ফানুস ফুটো হয়ে গেল আন্তর্জাতিক সমীক্ষা রিপোর্টে। গত দশ বছরে বিশ্বের ‘নিকৃষ্টতম স্বৈরতান্ত্রিক’ দেশগুলির তালিকায় নাম উঠে এল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের। সুইডেনের ভার্সিটিজ অব ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউটের রিপোর্টে দেশের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি প্রতিফলিত হয়েছে। আর এক্ষেত্রে দেশের ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণু পরিস্থিতির জন্য সরাসরি আঙুল তোলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানাকে।

আরও পড়ুন-মাফিয়াদের হাতে আক্রান্ত টহলরত বনকর্মীরা, অসম থেকে পাচারকারী ঢুকছে বাংলায়

এর আগেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ভারত ক্রমশ নির্বাচনভিত্তিক স্বৈরতন্ত্রে পর্যবসিত হয়েছে। এবার সুইডেনের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনী গণতন্ত্রের বিশ্ব তালিকায় ভারত পেয়েছে ১০৮তম স্থান। এই তালিকায় তাঞ্জানিয়া, বলিভিয়া, মেক্সিকো, সিঙ্গাপুর ও নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলিরও নিচে ঠাঁই হয়েছে ভারতের, যা বিজেপি শাসনকালের নমুনাকেই বেআব্রু করে দিয়েছে। গত ৩ মার্চ সুইডেনের এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত ‘ডিফায়েন্স ইন দ্য ফেস অব অটোক্রেটাইজেশন’ শীর্ষক এই রিপোর্টে কার্যত তুলোধোনা করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদির শাসনকালকে। ভারতকে আফগানিস্তান ও মায়ানমারের মতো দেশগুলির সঙ্গে একাসনে বসানো হয়েছে। বলা হয়েছে, যেসব দেশে নাটকীয়ভাবে রাজনৈতিক মেরুকরণের ঘটনা বাড়ছে, ভারত তাদের মধ্যে অন্যতম।

আরও পড়ুন-বিধায়কের তৎপরতায় উপাচার্য পেল বিশ্ববিদ্যালয়

সামাজিক বিভেদ ও ধর্মীয় মেরুকরণের বিষে সহযোগিতার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সুকৌশলে এই মেরুকরণের অস্ত্রে নাগরিকদের আচ্ছন্ন করে রেখে গণতন্ত্রিক নীতিগুলি থেকে সরে আসছে সরকার। মেরুকরণের বিষ বাড়তে থাকার কারণেই একনায়ক নেতাদের সমর্থন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে রক্ষণশীল এজেন্ডা বাস্তবায়িত করতে হাত শক্ত হচ্ছে স্বৈরাচারী নেতাদের। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই তা পক্ষপাতদুষ্ট বলে সরব হয়েছে বিজেপি। মোদির দলের পাল্টা অভিযোগ, সুইডেনের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরোসের ফান্ডে চলে। যিনি শুরু থেকেই মোদি সরকারের তীব্র বিরোধী। সম্প্রতি মার্কিন শিল্পপতি সোরোস আদানিকাণ্ডে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিঁধেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, আদানি ইস্যুতে মোদির রাজনৈতিক প্রভাব কমবে। ভারতে ‘গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন’ ঘটবে।

Latest article