নয়াদিল্লি : কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নির্দেশে ফের বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে সক্রিয় এজেন্সি। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির সক্রিয়তা তত বাড়াবে মোদি সরকার। বেছে বেছে বিরোধী শিবিরের নেতারাই এজেন্সি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু। দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া এই মুহূর্তে সিবিআই ও ইডির জালে। এবার এজেন্সির নয়া ‘টার্গেট’ বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav- ED)। শুক্রবার তেজস্বীর দিল্লির বাড়িতে হানা দিয়ে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। দিল্লিতে এদিন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদের মেয়ে মিসা ভারতী এবং দলীয় নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক আবু দোজানার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতি মামলায় এদিন একসঙ্গে মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। এর মধ্যে তেজস্বীর (Tejashwi Yadav- ED) দিল্লির ফ্রেন্ডস কলোনির বাড়িটিও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইডি জোর করে আমার বয়ান নিয়েছে : পিল্লাই
গত ২২ অক্টোবর ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। চার্জশিটে শুধু লালুপ্রসাদ নন, লালুপত্নী রাবড়ি দেবী, লালুর দুই কন্যা মিসা ভারতী এবং হেমা যাদবের নামও রয়েছে। এছাড়া আরও ১২ জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে। সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বিভিন্ন ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে রেলের বিভিন্ন জোনে চাকরি পাইয়ে দেন। অবৈধ উপায়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকা বা জমি নিয়েছিলেন লালুর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ নেতারা। সেই মামলাতেই সোমবার পাটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং লালুপত্নী রাবড়ি দেবীকে। তারপর মঙ্গলবার অসুস্থ লালুপ্রসাদ যাদব এবং তাঁর কন্যা মিসাকে এই মামলায় সিবিআই টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। আর শুক্রবার বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা লালুপুত্র তেজস্বী যাদবের দিল্লির বাড়িতে ইডির হানা। ঘটনাচক্রে গত রবিবারই কেন্দ্রীয় এজেন্সির রাজনৈতিক অপব্যবহার নিয়ে বিরোধী নেতৃত্ব একজোট হয়ে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই চিঠিতে আরও আট বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও স্বাক্ষর করেন। বিরোধীদের অভিযোগ, ঘটনা পরম্পরায় প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে, বিজেপি ও মোদির বিরুদ্ধে গেলেই বিরোধীদের হেনস্থা করা হয়। আর এই হেনস্থার অস্ত্র সিবিআই, ইডি, আইটির মত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।