প্রতিবেদন : কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের (central government) লাগামছাড়া উন্নয়নের মাশুল গুনতে হয়েছে জোশীমঠের বাসিন্দাদের। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য পাহাড় কেটে সুড়ঙ্গ বানাতে গিয়ে ধসের মুখে পড়েছে জোশীমঠের পাহাড়ি জনপদ। ভূমিধসের বিপদকে তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় লিখিত প্রশ্নের মাধ্যমে জানতে চান মেঘালয়ের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কার্যকারিতা সম্পর্কে।
আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রে শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক
তাঁর বক্তব্য, উত্তর-পূর্বের রাজ্য মেঘালয়ে যেভাবে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে তার জন্য যদি ভবিষ্যতে এই পাহাড়ি রাজ্যটিতেও জোশীমঠের মতো অবস্থা হয় তাহলে তা প্রতিরোধ করতে কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে। অভিষেকের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিসান রেড্ডি জানিয়েছেন, মেঘালয়ের ক্ষেত্রে এরকম কোনও আশঙ্কার কথা এখনও পর্যন্ত ওঠেনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যেই স্পষ্ট, জোশীমঠের ঘটনা থেকে কোনও শিক্ষা নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন-স্বচ্ছ ভারত মিশনের হাল প্রকল্পে তৈরি শৌচাগার ভেঙে মৃত্যু হল শিশুর
সংসদে লিখিত প্রশ্নে অভিষেক আরও জানতে চেয়েছিলেন, মেঘালয়ে বর্তমানে ব্যবহৃত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সংখ্যা কত? উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ৫টি বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং ৩টি ছোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে এই রাজ্যে। বিগত পাঁচ বছরে একটি বৃহৎ হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রকল্প ও কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে।