প্রতিবেদন : রেলের যথেচ্ছাচার উঠল আরও চরমে। রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Higher secondary exam) ও অভিভাবকদের আশঙ্কা বাড়িয়ে একতরফা ভাবেই শিয়ালদা মেন শাখায় ট্রেন বাতিলের সময়সীমা বাড়াল রেল (Rail)। সিবিএসই, আইসিএসসি পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার (Higher secondary exam) ভিড় সামলাতে বাড়তি ট্রেন চালানোর বদলে রেলের এই নতুন তুঘলকি সিদ্ধান্তে ক্ষোভের মাত্রা আরও বেড়েছে নিত্যযাত্রী মহলে। পূর্ব ঘোষণামতো ১৪ মার্চ নয়, বরং ট্রেন বাতিলের এই পর্ব ১৯ মার্চ পর্যন্ত চালানো হবে বলে রেলের তরফে সোমবার ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ট্রেন বাতিলের সংখ্যা মঙ্গলবার থেকে কিছুটা কমিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভের উপরে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে রেল। তাতেও আশঙ্কা খুব একটা কমছে না। শিয়ালদা মেন শাখার মতো প্রবল ব্যস্ত শাখায় সামান্য দুটো-একটি ট্রেন বাতিল হলেই যেভাবে ভিড় উপচে পড়ে যাত্রী পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে যায় সে অভিজ্ঞতা এই শাখায় যাতায়াতকারী সকলেরই অল্পবিস্তর আছে। পরীক্ষার সময় অন্যান্যবার বাড়তি ট্রেন চালিয়ে ভিড় সামাল দিতে হয়। সেখানে দৈনিক ১৩ জোড়া করে ট্রেন বাতিল হলে অবস্থা কী হবে তা ভেবে রীতিমতো আতঙ্কিত পরীক্ষার্থী ও তাদের পরিজনরা। একইসঙ্গে আরও একটি সংশয়ও দানা বাঁধছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় পরিকল্পিতভাবেই যাত্রীদের হয়রানি করে পরিস্থিতি অশান্ত করে তোলার চক্রান্ত কোথাও কাজ করছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রেলের অন্দরেই। বিজেপি ভজা রেল কর্তাদের একাংশের পরিকল্পনা এই সামগ্রিক ঘটনাপ্রবাহের পিছনে আছে কি না তা পরিষ্কার নয়।
আরও পড়ুন: ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম
রেলের তরফ থেকে অবশ্য পরীক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখার বিভাগীয় ম্যানেজার দীপক নিগম বলেন, সোমবার মধ্যরাতের মধ্যেই নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে। বাকি থেকে যাবে শুধু থার্ড লাইন পাতার কাজ। সেইকাজও একইসঙ্গে শেষ করতে হবে। আপাতত সেই কাজ ফেলে রেখে পরে তা করা সম্ভব নয়। তাই এবার দৈনিক ২৫ জোড়া ট্রেন বাতিল নয়, মঙ্গলবার থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত রোজ ১৩ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে শিয়ালদহ-নৈহাটি শাখায়। এর সঙ্গে নৈহাটি থেকে কল্যাণী পর্যন্ত দৈনিক আরও ৬ জোড়া বাতিল থাকবে।