নয়াদিল্লি : ২০২২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশের তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে ভারত। যা ২০২১ সালের তুলনায় কিছুটা ভাল বলা যায়। কারণ ২০২১ সালে ভারত ছিল পঞ্চম স্থানে। সর্বশেষ রিপোর্টে ভারতে পিএম (বস্তুকণা) ২.৫ মাত্রা ৫৩.৩ মাইক্রোগ্রাম/ঘন মিটারে নেমেছে। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিরাপদ সীমার ১০ গুণ বেশি। মঙ্গলবার প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্টে সুইজারল্যান্ডের সংস্থা আইকিউ এয়ার এই র্যাঙ্কিং নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন-ব্যাঙ্ক বিপর্যয়ের দায় ট্রাম্পের, দাবি বাইডেনের
আইকিউ এয়ারের রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের মধ্যে ছয়টি, শীর্ষ ২০টি শহরের মধ্যে ১৪টি, শীর্ষ ৫০টি শহরের মধ্যে ৩৯টি এবং শীর্ষ ১০০টি শহরের মধ্যে ৬৫টি ভারতের। এই তালিকায় দিল্লি এবং নয়াদিল্লি উভয়ই প্রথম দশে রয়েছে। এতদিন পর্যন্ত দিল্লি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানী ছিল। তবে এবার নয়াদিল্লি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানী হওয়ার কুখ্যাতি অর্জন করেছে মধ্য আফ্রিকার দেশ চাডের এনজামেনাতে। তবে এবারের রিপোর্ট বৃহত্তর দিল্লি এবং রাজধানী দিল্লির মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে। যদিও বৃহত্তর দিল্লি এবং রাজধানী নয়াদিল্লি উভয়ই শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের মধ্যে জায়গা পেয়েছে। আশার কথা, দিল্লির পার্শ্ববর্তী গুরুগ্রাম, নয়ডা, গাজিয়াবাদ এবং ফরিদাবাদের দূষণের মাত্রা হ্রাস পেয়েছে। গড় পিএম ২.৫ মাত্রার তুলনায় গুরুগ্রামের ৩৪ শতাংশ এবং ফরিদাবাদে ২১ শতাংশ দূষণ কমেছে। দিল্লিতে দূষণ কমেছে মাত্র ৮ শতাংশ। তবে এই শহরগুলিতে দূষণের প্রকৃত মাত্রা ভারতীয় গড়ের তুলনায় অনেক বেশি।
আরও পড়ুন-লোকমত বর্ষসেরা সাংসদ পুরস্কার পেলেন ডেরেক
১৩১টি দেশের তথ্য ৩০ হাজারের বেশি শহরে তৃণমূল স্তর থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অধিকাংশ ভারতীয় শহর দূষিত শহরের তালিকার প্রথম দিকেই জায়গা পেয়েছে। ওই রিপোর্ট বলা হয়েছে, পিএম ২.৫ দূষণের ২০-৩৫ শতাংশ ঘটায় পরিবহণ ক্ষেত্র। দূষণের অন্যান্য উৎস হল কলকারখানা, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বায়োমাস পোড়ানো।