প্রতিবেদন : সম্প্রতি বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে। ইডির সমন অগ্রাহ্য করে বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানের মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের মেয়ে কবিতা ইডি দফতরে গেলেন না। অন্যদিকে আরেকটি মামলায় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে সিবিআই তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। কোর্টের নির্দেশ, তেজস্বী তদন্তকারী সংস্থার সমন এড়াতে পারবেন না। ফলে ২৫ মার্চ তাঁকে হাজির হতে হচ্ছে সিবিআই দফতরে।
আরও পড়ুন-সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ
এদিকে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের মেয়ে কবিতাকে ডেকেছিল ইডি। কিন্তু বিআরএস নেত্রী কবিতা এদিন ইডির দফতরে যাননি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। ২৪ মার্চ এই মামলার শুনানি হবে। তারপরই তিনি ইডির কাছে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে ইডির তলবের উপর সুপ্রিম কোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি। তাই কবিতার এই সিদ্ধান্তের পর ইডি কী পদক্ষেপ করে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল রয়েছে।
আরও পড়ুন-স্বতন্ত্র অবস্থান বজায় রেখেই চলবে দল
অন্যদিকে জমির বিনিময়ে চাকরি দুর্নীতি মামলায় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এই মামলায় তেজস্বীকে তলব করেছিল সিবিআই। আগেও দু’বার সিবিআইয়ের সমন এড়িয়ে যান তিনি। তবে হাইকোর্টে গিয়েও তেজস্বীর কোনও সুরাহা হল না। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, তেজস্বীকে সিবিআইয়ের দিল্লির অফিসে হাজিরা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে তেজস্বী বলেছিলেন, যে সময়কার দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, সেই সময় তিনি ছিলেন নাবালক। শুধু তাই নয়, তাঁকে বিহারে না ডেকে সিবিআই কেন দিল্লির দফতরে তলব করছে? এদিনের শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী কোর্টে জানান, তেজস্বীকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। তবে তাঁকে গ্রেফতার করার কথা ভাবছে না তদন্তকারী সংস্থা।