সংবাদদাতা, কাটোয়া : ভক্তের শ্রাদ্ধ করেন ভগবান। তা দেখতে বছরের পর বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ জমায়েত হন কাটোয়ার অগ্রদ্বীপে। পরমবৈষ্ণব গোবিন্দ ঘোষের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানকে ঘিরে বসে সপ্তাহব্যাপী গোপীনাথ বা ঘোষঠাকুরের মেলা। বিভিন্ন জেলা এমনকী ভিনরাজ্য থেকেও দর্শনার্থীরা জড়ো হন ভাগীরথী লাগোয়া অগ্রদ্বীপে। সার সার বসে কীর্তনের আখড়া। জনসংখ্যার নিরিখে এই মেলাটি গঙ্গাসাগরের পরেই। নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক পুলিশ, প্রশাসন। বসেছে সিসি ক্যামেরা, হয়েছে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম।
আরও পড়ুন-বৃষ্টিতে বিপন্ন রসুন-পেঁয়াজচাষিরা
বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সবাইকে স্বাগত জানান। মেলায় ২২ বছর ধরে আখড়া করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। কথিত আছে, চৈতন্যপরিকর গোবিন্দ ঘোষ একমাত্র পুত্রের মৃত্যুশোকে বৈরাগী হবেন ঠিক করেন। শ্রীকৃষ্ণ ভক্তের মনোকষ্টের কথা জানতে পেরে স্বপ্নে জানান, তিনি পুত্র হয়ে তাঁর শ্রাদ্ধকর্ম করবেন। ১৫১৪-য় মহাপ্রভু চৈতন্য গোবিন্দর ভজন কুটিরে গোপীনাথ অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণের প্রস্তরমূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। ওঁর নির্দেশেই গোবিন্দ সেবক হন। গোবিন্দর প্রয়াণের পর গোপীনাথ নাকি শ্রাদ্ধ করেন। সেই থেকেই এই মেলার পত্তন। মেলায় এবার ৩০০ আখড়া হয়েছে। বাংলার চার ঘরানার কীর্তন গান, ফকিরিগান, বাউলগান, সুফি গান ও দরবেশ গানের শিল্পীরা মেলায় এসেছেন। শ্রাদ্ধকর্মের দিন চিঁড়া মহোৎসবের পর কয়েকদিন ধরে চলে অন্নমহোৎসব।