প্রতিবেদন : দু’জন মানুষের ব্যক্তিগত জীবনযাপনের স্বাধীনতা নিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের আর্জি শুরুতেই খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। মামলার আবেদনে বলা হয়েছিল, দেশে লিভ-ইন সম্পর্কগুলি সরকারি স্তরে নথিভুক্ত করা হোক। এই প্রস্তাব সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, লিভ-ইন সম্পর্কের নথিভুক্তিকরণ সম্পূর্ণ অবান্তর ভাবনা। কেন্দ্রীয় সরকার এক্ষেত্রে কী করতে পারে? প্রবল বিরক্তি প্রকাশ করে লিভ-ইন সম্পর্ক নথিভুক্তিকরণের জন্য করা আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন-মুম্বইয়ে ন’দিন ধরে মায়ের দেহ টুকরো করেছিল মেয়ে
লিভ-ইন সম্পর্ক কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নথিভুক্ত করতে হবে, সুপ্রিম কোর্টকে এমন নির্দেশ দেওয়ার জন্য মামলায় আবেদন করা হয়েছিল। ওই আবেদনে দাবি করা হয়, লিভ-ইন সম্পর্কের কারণেই অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে শ্রদ্ধা ওয়াকারের হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। লিভ-ইন সম্পর্ক নথিভুক্তিকরণের জন্য নিয়ম এবং নির্দেশিকা তৈরির দাবি করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে আবেদনকারীর যুক্তি হল, নথিভুক্তিকরণের ফলে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা দুই ব্যক্তির কাছেই সব ধরনের নথি থাকবে। পাশাপাশি সরকারের কাছেও তাঁদের সম্পর্কে নথি থাকবে।
আরও পড়ুন-বাম জমানার বঞ্চনার সমাধান হল দু’মাসেই
সোমবার ওই আবেদনটি খারিজ করল সর্বোচ্চ আদালত। এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ মামলাকারীর আইনজীবী মমতা রানিকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা যুগলদের সুরক্ষা বাড়াতে চান, নাকি তাঁদের এই সম্পর্কে ইতি টানতে চান। এই মামলা নিয়ে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করেন চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতি বলেন, এসব কী হচ্ছে! মানুষ যা খুশি দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলে আসছে! কিসের নথিভুক্তিকরণ? কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে কী করবে? লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা যুগলদের সঙ্গে সরকারের কি কোনও যোগ আছে? এগুলো সব অবাস্তব ভাবনাচিন্তা। আদালতকে দিয়ে যা ইচ্ছা তাই কার্যকর করানোর চেষ্টা হচ্ছে। এই ধরনের মামলা করার ক্ষেত্রে খরচ চাপাতে শুরু করব। মামলাকারী আইনজীবী লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা যুগলদের সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বললে তাঁর বুদ্ধিমত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত।