পঞ্চায়েত ভোট গ্রহণে প্রশিক্ষণ

আইনি জটিলতায় চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও পঞ্চায়েত ভোটের প্রশাসনিক প্রস্তুতি চলেছে জোরকদমে।

Must read

প্রতিবেদন : আইনি জটিলতায় চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও পঞ্চায়েত ভোটের প্রশাসনিক প্রস্তুতি চলেছে জোরকদমে। আসন পুনর্বিন্যাস থেকে ভোটার তালিকা প্রকাশের মতো কাজ আগেই সেরে ফেলা হয়েছে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটকর্মী ও আধিকারিক নিয়োগ ও তাঁদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন এব্যাপারে একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধুমাত্র রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, পুরকর্মী এবং সরকারি ও সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত স্কুল বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মচারীদের ভোটকর্মী হিসাবে নিযুক্ত করা যাবে।

আরও পড়ুন-বিরোধীদের অপপ্রচার কোনও কাজে দেবে না

শুধুমাত্র জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিকের নির্দেশেই ভোটকর্মী ও প্রিসাইডিং আধিকারিকদের নিয়োগ করা হবে। জেলাশাসকরাই পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে কাজ করবেন। প্রার্থী বা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের কাউকে ভোটকর্মী হিসাবে যাতে নিয়োগ না করা হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। যে ব্লক এলাকায় নির্বাচন, সেই অঞ্চলের আবাসিক ঠিকানার কাউকেও ভোটকর্মী দলে রাখা যাবে না বলে কমিশনের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট পোর্টালের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দফতর বা প্রতিষ্ঠান থেকে ভোটকর্মী হওয়ার উপযুক্ত কর্মচারীদের তালিকা পাওয়ার পর যোগ্য প্রার্থীদের বেছে নিয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। মহকুমা ও ব্লক স্তরে দু’দফায় তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন-অমর্ত্য সেনের নামেই ইজারা ভোগদখলে ১.৩৮ একর জমি

প্রসঙ্গত, আসন সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা-সহ একাধিক ইস্যুতে মামলার জেরে নির্বাচনের দিনক্ষণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে হাইকোর্ট। ১৬ মার্চ সেই মামলার শুনানি হবে। যদিও একই ইস্যুতে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। সেটির শুনানি এখনও শুরু হয়নি। ১৬ তারিখ সেই মামলাটিও একসঙ্গে শুনতে পারেন বিচারপতি। তবে আইনি মহলের ধারণা, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নির্বাচিত বোর্ডগুলির মেয়াদ কবে শেষ হচ্ছে, সে ব্যাপারে আদালত যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তাই শীঘ্রই মামলার জট কেটে যাবে বলে মনে করছে তারা। ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির পর মনোনয়ন দাখিল, মনোনয়ন প্রত্যাহার, প্রচারপর্ব ইত্যাদির জন্য কমপক্ষে ২৮ থেকে সর্বোচ্চ ৪২ দিন পর্যন্ত সময় দিতে হয়। এই পরিস্থিতিতে বোর্ডগুলির মেয়াদ শেষের আগে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন সংগঠিত করা যাবে বলে আশাবাদী কমিশন।

Latest article