সংবাদদাতা, মহেশতলা : সোমবার সন্ধ্যায় মহেশতলার পুটখালি মণ্ডলপাড়ায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করবে দমকল ও পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলে সরজমিনে খতিয়ে দেখে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এই কথা জানান। ঘটনার জেরে বাজি কারখানার মালিক ভরত হাতিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-কলকাতার প্রথম থিমশিল্পী বন্দন রাহার রহস্যমৃত্যু
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ভরত হাতির বাড়িতে চা তৈরির সময় একটি স্টোভ ফেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাড়ি লাগোয়া বাজি কারখানায়। ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে। সেই সময় বাড়ির ভিতরে থাকা ভরতের স্ত্রী লিপিকা (৫২) ও ছেলে শান্তনু (৩২) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। কারখানার বাজি ফেটে মারা যান আলো দাস (১৭) নামে প্রতিবেশী এক কিশোরী। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল আলো। বাড়িতে আগুন লাগার পর কারখানার আতশবাজি ফাটতে শুরু করে। নিমেষে পুরো বাড়ি আগুনের গ্রাসে চলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখেন পুলিশকর্মীরা।
আরও পড়ুন-ভৌমবতী অমাবস্যায় তারাপীঠে চলছে মহাপুজো
এদিন সুজিত বসু বলেন, ‘গতকাল খবর পাওয়ার পর থেকে দমকলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। পুরো বিষয়টি তদন্তের পরই জানা যাবে। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে আসবে।’ মহেশতলার বাজি ব্যবসায়ী তথা প্রদেশ আতশবাজি সমিতির সভাপতি শুকদেব নস্কর বলেন, ‘ওই ব্যবসায়ীর লাইসেন্স আছে কিনা খুঁজে দেখছি।’