কৃষ্ণনগর। বাংলার সংস্কৃতিচর্চার পীঠস্থান। জন্মস্থান বহু কৃতী মানুষের। পবিত্র এই ভূমি প্রাচীনকাল থেকেই পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে সংগীত, সাহিত্য, নাটক, মৃৎশিল্পের। আজও নিয়মিতভাবে বসে গানবাজনা, অভিনয়, কবিতার আসর। সমবেত হন সমঝদার, জ্ঞানীরা। কুণ্ঠাহীনভাবে করেন মত বিনিময়। বহু বিখ্যাত মানুষের পদধূলিতে ধন্য কৃষ্ণনগর বর্তমানে নদিয়ার সদর শহর।
আরও পড়ুন-ইসির হ্যাটট্রিক, ফাইনালে মুম্বই
এই শহরেই জন্ম মল্লিকা সেনগুপ্তর। ১৯৬০-এর ২৭ মার্চ। ছোট থেকেই বেড়ে উঠেছেন সাহিত্য-সংস্কৃতির সুস্থ পরিবেশে। শহরের পুরোনো দেওয়ালে কান পাতলেই শুনতে পেতেন উচ্চাঙ্গ সংগীতের সুর, বিদগ্ধ ব্যক্তিদের আলাপ-আলোচনা। হাওয়ায় ভেসে বেড়াত কবিতার পঙ্ক্তি। এইভাবেই তাঁর কান তৈরি হয়, মন তৈরি হয়।
সাহসী এবং স্বতন্ত্র
ছাত্রী-জীবনেই লেখালিখির শুরু মল্লিকার। আঁকড়ে ধরেন কবিতা। প্রথম থেকেই ছিলেন সমাজ সচেতন, আপসহীন। বৃহত্তর পাঠক সমাজের কাছে আত্মপ্রকাশ আটের দশকে। প্রথম কবিতার বই ‘চল্লিশ চাঁদের আয়ু’। প্রকাশ পায় ১৯৮৩ সালে। তখন তিনি ২৩।
শুরু থেকেই উচ্চারণ ছিল সাহসী এবং নিজস্ব। সেই কারণে হয়ে উঠতে পেরেছিলেন স্বতন্ত্র। নারীবাদ ছিল তাঁর কবিতার মূল আধার। ঘোমটা-খোলা, বোরখা-বর্জিত এক আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে তিনি নারীকে দেখতে চেয়েছিলেন। তাই তাঁর কবিতায় নারী পুনর্জীবিত হয়ে উঠতে পেরেছে।
আরও পড়ুন-নেত্রীর নেতৃত্বে জোট বাঁধছে বিরোধীশক্তি
ঋতুকালে দেবালয়ে নেই প্রবেশাধিকার, অথচ সামলাতে হয় হেঁশেল। তখন নারীকে অস্পৃশ্য মনে হয় না! এই ভণ্ডামির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। আমরণ স্বপ্ন দেখেছেন নারীমুক্তির। লিখেছেন : ‘আমার দুর্গা ত্রিশূল ধরেছে স্বর্গে এবং মর্ত্যে/ আমার দুর্গা বাঁচতে শিখেছে নিজে-ই নিজের শর্তে।’
নারীচরিত্রের পুনর্নির্মাণ
মানবীবিদ্যার চর্চা করতেন মল্লিকা। বেহুলা, সীতা, দ্রৌপদী প্রভৃতি নারীচরিত্রগুলি পুনর্নিমিত হয়েছে তাঁর কবিতায়। ইতিহাসের নিচে চাপা পড়ে আছে যুগ যুগান্তের অপমানিত, অবহেলিত নারীদের কাহিনি। সেইসব নারীদের যন্ত্রণার কথা তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন। সমকালও তাঁর কবিতায় বারবার উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন-সিপিএম জমানায় সীমাহীন দুর্নীতি শ্বেতপত্র প্রকাশের ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
সাম্য এবং সমানাধিকার
অনেকের ধারণা মল্লিকা পুরুষবিদ্বেষী। কথাটা সঠিক নয়। কোনওভাবেই তিনি অস্বীকার করেননি পুরুষকে। তাই তো তাঁর বেশকিছু কবিতায় এসেছে তুমুল প্রেম। তবে চেয়েছিলেন সাম্যের গান গাইতে, চেয়েছিলেন নারী ও পুরুষের সমানাধিকার। তাঁর বিভিন্ন লেখাপত্রে দেখা গেছে এই দৃপ্ত ভাবনার প্রকাশ। সমাজে লিঙ্গ-বৈষম্য দেখে ফুঁসে উঠেছেন। প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছেন কার্ল মার্কস এবং ফ্রয়েডকে। পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের ‘বীরপুরুষ’-এর পুনর্নির্মাণ করে লিখেছেন ‘বীরপুরুষের মা’।
আরও পড়ুন-সাংসদ পদ খারিজ রাহুলের, বিক্ষোভে সামিল কংগ্রেস নেতারা
আলোকিত কাব্যভাষা
একটা সময় তাঁর কবিতা ছিল রহস্যময়। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, তাঁর কাব্যভাষা অনেক বেশি আলোকিত হয়েছে। পৌঁছে গেছে সাধারণের ঘরে। সেইসব নারীর কাছে, যাঁদের জন্য তাঁর এই নারীজন্ম, যাঁদের জন্য তাঁর লেখা। এই প্রসঙ্গে কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছিলেন : মল্লিকা আর শুদ্ধ কবিতার বেড়ি পরিয়ে তাঁর কবিতাকে পঙ্গু করে রাখেননি, স্পেডকে তিনি স্পেডই বলেছেন, বর্শাফলকের মতো তাঁর কাব্যভাষা ছিন্ন করেছে সাংকেতিক কুয়াশা, আলো ফেলেছে এমন কিছু কিছু বিষয়ের উপর, যে বিষয়গুলি মল্লিকার আগে আর অন্য কোনও কবির কলমে ঠাঁই পায়নি৷ এতখানি স্পষ্ট ভাষায় কবিতা লিখলেন কেন মল্লিকা? মল্লিকার কবিতাগ্রন্থগুলির ধারাবাহিক পাঠ থেকে এটা বেশ বোঝা যায় যে, দিন যত গিয়েছে কবি ততই চেয়েছেন লড়াইয়ের ময়দানে তাঁর কবিতা কেবল একটি মেয়ের বন্ধুই নয়, হয়ে উঠুক তার হাতিয়ারও, আর কে না জানে হাতিয়ার যতই ধারালো, ততই কার্যকরী!
আরও পড়ুন-সাংসদ পদ খারিজ রাহুলের, বিক্ষোভে সামিল কংগ্রেস নেতারা
অন্য কবিদের চোখে
কথা হল এই সময়ের কয়েকজন কবির সঙ্গে। কেউ তাঁর অগ্রজ, কেউ সমসাময়িক, কেউ অনুজ। প্রত্যেকের সঙ্গেই ছিল ব্যক্তিগত সম্পর্ক। তাঁরা কী ভাবছেন মল্লিকা সেনগুপ্তর কবিতা নিয়ে?
কবি কৃষ্ণা বসু : মল্লিকা সেনগুপ্ত আমার অতি প্রিয় সাহিত্য ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তিগত জীবনে বোন ও বান্ধবী। ওঁর লেখা আমার অত্যন্ত প্রিয়। লেখায় যে জীবন সচেতনতা নারী চেতনা দেখা যায়, সেটা আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করি এবং সমাদর করি। তাঁর সমাজ মনস্কতা আমার কাছে খুবই আকর্ষণের বিষয়। ইতিহাস সচেতনতাও লক্ষ্য করবার মতো। জীবন চেতনাও কবিতার ছাত্র-ছাত্রে ডানা মেলছে। কিছু গদ্য লিখেছেন। সেগুলোও আমার প্রিয়। কিন্তু সবচেয়ে প্রিয় তাঁর কবিতা। তিনি আটের দশকের একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি। একবার দেশ পত্রিকায় স্বাধীনতার ৫০ বছরের পরের বাংলা কবিতার ইতিহাস নিয়ে আমাকে লিখতে বলা হয়।
প্রতি দশক থেকে দুজন কবিকে আমি নির্বাচন করি। আটের দশকে নির্বাচন করেছিলাম মল্লিকা সেনগুপ্তকে। অকালে চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে। তাঁর এই চলে যাওয়া আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারি না।
আরও পড়ুন-রাহুলের সাংসদ পদ বাতিল, কেন্দ্রকে তোপ তৃণমূলনেত্রী ও অভিষেকের
কবি সুজিত সরকার : সিমোন দ্য বোভোয়া ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’ বইটি লিখে যেমন পাঁচের দশকে সমগ্র ইউরোপে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন, মল্লিকা সেনগুপ্তও তাঁর কবিতার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে তেমনই বিপুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। আট ও নয়ের দশকে। ‘ঘাস মাটি বায়ু জল এতদিন পুরুষের ছিল/ সমাজ পুরুষ ছিল, এইবার উভলিঙ্গ হোক।’— তাঁর এই বলিষ্ঠ উচ্চারণ বাংলা কবিতায় সুদূরপ্রসারী প্রভাব রেখে গেছে।
মল্লিকা সেনগুপ্ত ঘোষিতভাবে একজন নারীবাদী কবি। তাঁর ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র ভূমিকায় তিনি বলেছেন, ‘যে অভিজ্ঞতাগুলো অনেকদিন চাপা পড়ে ছিল অসূর্য্যস্পশ্যা ঘাসের মতো, আমি সেই অন্ধকার ঘাসে রোদ লাগাতে চেয়েছি। যে প্রতিবাদ ঢেকে রাখা হাঁড়ির মতো, বাংলা কবিতার হাটে সেই হাঁড়ি ভাঙতে চেয়েছি।’
এই প্রতিবাদ তাঁকে আঙুল তুলতে শিখিয়েছে। এমনকী কার্ল মার্কস-এর দিকেও। একটি কবিতায় তিনি কার্ল মার্কসকে প্রশ্ন করেছেন, ‘গৃহশ্রমে মজুরি হয় না বলে মেয়েগুলি শুধু/ ঘরে বসে বিপ্লবীর ভাত রেঁধে দেবে/ আর কমরেড শুধু যার হাতে কাস্তে হাতুড়ি!/ আপনাকে মানায় না এই অবিচার।/ কখনো বিপ্লব হলে/ পৃথিবীতে স্বর্গরাজ্য হবে/ শ্রেণীহীন রাষ্ট্রহীন আলো-পৃথিবীর সেই দেশে/ আপনি বলুন মার্কস, মেয়েরা কি বিপ্লবের সেবাদাসী হবে?’
আরও পড়ুন-সাংসদ পদ খারিজ রাহুলের, বিক্ষোভে সামিল কংগ্রেস নেতারা
কবি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় : বিভিন্ন রিচ্যুয়াল (স্বভাবত পিতৃতান্ত্রিক) যা মেয়েদের পদে পদে বন্দি করে রেখেছে, অপমান ঝরিয়েছে, সেসব নিয়ে ঝলসে উঠেছে মল্লিকার কলম। ‘পুরুষ আমি তো কখনও তোমার বিরুদ্ধে হাত তুলিনি/ প্রথম যে দিন সীমন্ত চিরে রক্তচিহ্ন দিয়েছ/ আমার সেদিন ব্যথা লেগেছিল, বলিনি তোমাকে বলিনি…’।
কাজের মাসিটির দুরবস্থা নিয়েও মল্লিকার ‘উইটি’ কলম শ্রেণিবৈষম্যকে কী নিপুণভাবে নান্দনিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছে। ‘শুধু এই বিবেকবাবু মাঝেমাঝে নাড়ছে ঘেটি/ ওকে নয় ডলার গুনে কিনে নিক অ্যামনেস্টি।’
মেয়েদের জন্য বারুদভর্তি কবিতার পাশে প্রেমও উঠে এসেছে ওর কবিতায়। স্বাভাবিক। কারণ, জীবনের অনেকখানি নিয়ে আছে মল্লিকার সন্তানস্নেহ। আছে স্বামীর প্রতি প্রেম। ভয়ানক অত্যাচারিতার কথা লেখার পাশাপাশি সে মেধা ও হৃদয় দিয়ে গেঁথে তোলে অপরূপ সোহাগশর্বরী। ‘হংসদম্পতির আজ এইখানে সোহাগশর্বরী/ চার হাত ভরে মাটি তুললাম, গাঁথা হল ভিত,/তির-ধনুকের চিহ্ন আঁকলাম মাটির দেয়ালে,/ দ্বীপ জন্ম নেবে আছ শ্বেত ও প্রবাল ঘূর্ণিস্রোতে।’
আরও পড়ুন-প্রয়াত পরিচালক প্রদীপ সরকার, শোকজ্ঞাপন করেছেন অভিনেতারা
মল্লিকার লেখাপত্রের অনেকটাই জুড়ে আছে ইতিহাসচেতনা। আছে পুরুষতান্ত্রিক সব সাবভার্সনকে ডিকনস্ট্রাক্ট করে অসামান্য নির্মাণশিল্প, পুনরায়। আমি তো বলব, সবই রাজনৈতিক কবিতা। শিল্পের মোড়কে মোড়া। আমি ও আমেরিকা কবিতার সামনে থেমে আছি আমি এখন। পড়ছি, ‘আমার ছেলের ঘরে মার্কিন পুতুল/ খায় দায় গান গায় বিষলি ধুঁধুল/ওই বিষ ঢুকে যাবে ছেলের শরীরে/ হিংসার জয়গান বিষমাখা তিরে।’
কবি শিবাশিস মুখোপাধ্যায় : মল্লিকাদিকে প্রথম দেখি আটের দশকের মাঝামাঝি একটা কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে। ঋজু, সপাট, মুখে আলতো একটা হাসি। নাম ঘোষণা হবার পর এসে দাঁড়ালেন মাইক্রোফোনের সামনে। কিন্তু কবিতা পড়ার সময় গলায় কোনও বেয়াড়া চিৎকার নেই। যা কিছু প্রতিবাদ আর তীব্রতা— তা ছিল মল্লিকাদির লেখায়। কবিতার অক্ষরে অক্ষরে।
আরও পড়ুন-বাড়ছে বাজেট, বিদায় নিশ্চিত স্টিফেনের
আজও মল্লিকাদির কবিতার জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। এখনও যে কোনও কবিতার অনুষ্ঠানে আবৃত্তি শিল্পীদের গলায় অন্তত চার-পাঁচটি তাঁর কবিতা শোনা যাবেই। তাঁর কবিতা নিয়ে গবেষণা করছেন পণ্ডিতেরা, পিএইচডি করছেন ছাত্রজন, প্রবন্ধ লিখছেন নিবিষ্ট অধ্যাপক। আর আমরা অনুভব করছি আজও পাঠকহৃদয়ে তাঁর উষ্ণ উপস্থিতির স্পন্দন। মনে আছে তাঁর সিরিটির ফ্লাটে গেলে কখনও চা না খাইয়ে ছাড়তেন না মল্লিকাদি। কখনও কখনও তাঁর নিজের হাতের রান্না করা দু-একটা পদও খাইয়েছেন যত্ন করে। আমাদের প্রজন্মের অনেক কবিবন্ধুকে তো লালন করেছেন প্রায় মাতৃস্নেহে। কবি-লেখক-মা-মেয়ে-দিদি এইসব মিলিয়ে মল্লিকাদির একটা পূর্ণরূপ আছে। সেই পূর্ণিমার আলোয় বাংলা কবিতা উজ্জ্বল হয়ে থাকবে অনেকদিন।
আরও পড়ুন-নারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িত, স্বীকার শুভেন্দুর, গ্রেফতারের দাবি তৃণমূলের
কবি সুস্মেলী দত্ত : মল্লিকা সেনগুপ্ত শুধুমাত্র লেখেননি, লিখিয়েছেন, ভাবেননি, ভাবিয়েছেন। তাঁর শব্দগুচ্ছ কবিতা নয়, যাপনচিত্র। তাঁর সৃষ্টির মধ্যে জন্ম নেয় নারী নামক প্রতিবাদ, অলঙ্কারবিহীন, ঋজু, আধুনিক সপ্রতিভ এক সত্তা। তিনি আজও প্রাসঙ্গিক তরুণ কবিদের কলমে, মননে।
থেকে যাবেন মল্লিকা
কবিতার পাশাপাশি উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছড়া লিখেছেন মল্লিকা সেনগুপ্ত। করেছেন অনুবাদ। ছিলেন সমাজবিদ্যার অধ্যাপক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত মহারানি কাশীশ্বরী কলেজে। দীর্ঘদিন সম্পাদনা করেছেন একটি বিখ্যাত পত্রিকার কবিতা বিভাগ।
আরও পড়ুন-এক অন্য দেশ, এক অনন্য লড়াই
মাত্র ৫১ বছরের আয়ু। কর্কট রোগে আক্রান্ত হন। ২০১১-র ২৮ মে চলে যান না-ফেরার দেশে। থেকে গেছে তাঁর অসামান্য সৃষ্টি। নানা বিষয়ে লেখা ২০টি বই। যেমন ‘কবির বউঠান’, ‘সীতায়ন’, ‘কথামানবী’, ‘স্ত্রীলিঙ্গ নির্মাণ’, ‘মেয়েদের অ আ ক খ’, ‘অর্ধেক পৃথিবী’, ‘আমি সিন্ধুর মেয়ে’, ‘বৃষ্টিমিছিল বারুদমিছিল’।
যতদিন বাংলা ভাষা থাকবে, বাংলা কবিতা থাকবে, ততদিন থেকে যাবেন মল্লিকা সেনগুপ্ত। কারণ, নতুন ভাষা নির্মাণে তাঁর কবিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।