কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর: প্রত্যাশা মতোই মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেসের বিধানসভায় খাতা খোলার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল। সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৯৬,১২০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় কংগ্রেসের জৈদুর রহমান পেয়েছেন ৭০,০০৯। বিজেপির মিলন মণ্ডল মাত্র ১০,৭৭৭। নোটায় ভোট পড়েছে ৩০৬২টি। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের আমিরুল মাত্র ১০৮৭ ভোটে জিতেছিলেন। এবার জয়ের মার্জিন বেড়ে হল ২৬,১১১।
আরও পড়ুন :জলমগ্ন দক্ষিণবঙ্গ, লড়ছে প্রশাসন
অন্যদিকে, জঙ্গিপুরেও প্রত্যাশামতো জয় পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জাকির হোসেন। গতবার ২০,৬৩৩ ভোটে জিতেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন। এ বছজয়ের ব্যবধান আকাশ ছুঁয়েছে। বেড়ে হয়েছে ৯২,৬১৩। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বুঝিয়েছিল, পায়ের তলার মাটি ঝুরঝুরে হয়ে গিয়েছে বহরমপুরের সাংসদের৷ তথাকথিত শক্ত ঘাঁটি মুর্শিদাবাদেও খাতা খুলতে ব্যর্থ কংগ্রেস৷ হাতছাড়া হয় অধীর চৌধুরির ‘দুর্গ’ বলে পরিচিত বহরমপুুরও৷
আরও পড়ুন :কন্যাশ্রী পেয়ে আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স-সহ স্নাতক হয়েছি
বিধানসভা নির্বাচনে গোটা মুর্শিদাবাদেই একচেটিয়া দাপট দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস । সোমবার অধীর বহরমপুর কংগ্রেস কার্যালয় জঙ্গিপুর কেন্দ্রের বিজয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জাকির হোসেনের প্রশংসা করে বলেন, ‘শরীর খারাপের মধ্যেও জাকির হোসেন মাত্র ছ দিন প্রচার করে প্রায় ৯০ হাজার ভোটে জিতেছেন। জাকির হোসেন ব্যক্তি হিসেবে ভালো মানুষ হওয়ার জন্য কংগ্রেসের বহু ভোটার এ বছর জাকির হোসেনকে ভোট দিয়েছেন।’
অধীর জাকিরকে মন্ত্রিসভায় ক্যাবিনেট মন্ত্রী করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘জাকির হোসেনকে মন্ত্রিসভা থেকে না সরিয়ে সম্ভব হলে তাঁকে সম্মান দিয়ে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করুন, যাতে মুর্শিদাবাদ থেকে অন্ততপক্ষে একজন আপনার মন্ত্রিসভায় ক্যাবিনেট মন্ত্রী থাকে।’ সাত তারিখ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। কলকাতার উদ্দেশে রওনা হতে চলেছেন দুই বিধায়ক।