সংবাদদাতা, হলদিয়া : শিল্পশহর হলদিয়ায় (Haldia- INTTUC) কোনও কারখানায় দীর্ঘদিন কর্মরত স্থানীয় শ্রমিককে বাদ দিয়ে বাইরে থেকে শ্রমিক এনে কাজ করানো যাবে না বলে ঠিকাদারদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন আইএনটিটিইউসির নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে কারখানার সিংহভাগ ঠিকা শ্রমিক কোনও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বঞ্চনা নিয়ে অভিযোগ করলে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে তার তদন্তের দাবি জানাল আইএনটিটিইউসি। শনিবার হলদিয়ার এক্সাইড ব্যাটারি কারখানার গেটে শ্রমিক সমাবেশে এই দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। এক্সাইড কারখানায় বেতনচুক্তির পুনর্মূল্যায়ন করে নতুন করে বেতনচুক্তি হওয়ায় এদিন ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভার আয়োজন করে আইএনটিটিইউসি (Haldia- INTTUC)। নয়া চুক্তির ফলে শ্রমিকদের মাসে আরও ১৫০ টাকা করে বেড়েছে। পাঁচ বছরের জন্য সেই বেতনচুক্তি হয়েছে। নয়া চুক্তি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হল। মোট দেড় হাজার শ্রমিকের জন্য এই চুক্তি হয়েছে। এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি চন্দন দে, এক্সাইডের নেতা সুদীপ্ত ভক্তা প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রম দপ্তরের নির্দেশ মতো এদিন থেকেই এক্সাইডে সাপ্লাই লেবারদের জন্য গেট পাশের বদলে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু হল। অস্থায়ী শ্রমিকদের বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিতে রাজ্যের শ্রমদপ্তরের উদ্যোগে ইতিহাস তৈরি হয়েছে। ঋতব্রত বলেন, হলদিয়ায় ঠিকাদার ও কারখানা কর্তৃপক্ষের একাংশের শ্রমিক শোষণ ঠেকাতে শ্রম দফতর ও রাজ্য সরকার নির্দশিত সরকারি কমিটি একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ঠিকাদারদের বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া এবং তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। মডার্ন কনকাস্ট কারখানায় দীর্ঘদিন যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের বাদ দিয়ে বাইরে থেকে শ্রমিক এনে কাজ করানো বরদাস্ত করা হবে না। আরও কয়েকটি কারখানার ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ উঠেছে। তিনি এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ওরা বেতন চুক্তি ও নিয়োগের শ্রমদফতরের সরকারি কমিটি নিয়ে অপপ্রচার করেছিল। এখন আবার ইসিএল কারখানায় সেই কমিটির বেতন চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করছে।