প্রতিবেদন : রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে খবরদারির উদ্দেশ্যে রাজ্যপালের পাঠানো চিঠির কোনও আইনি ভিত্তি নেই। নীতিগতভাবে তা ঠিক নয়। রাজ্যপালকে বলব, সম্মান রেখে এই চিঠি প্রত্যাহার করুন। বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। একইসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যপাল আইনি পথে চলতে ভালবাসেন। ফলে আমরা আইনি পরামর্শ নেব। ইতিমধ্যেই আমরা আইনি পরামর্শ চেয়েছি। আমি আমার দফতরের সচিবকে বলেওছি গোটা বিষয়টির আইনি দিক খতিয়ে দেখতে।
আরও পড়ুন-গিরিরাজকে বিস্ফোরক চিঠি তৃণমূল কংগ্রেসের
শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বশাসিত সংস্থা। খুব অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কাজে হস্তক্ষেপ করি না। রাজভবন বা রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকার কোনও সংঘাত চায় না তা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, আমাদের লক্ষ্য রাজভবন বনাম রাজ্য সরকার নয়। রাজভবন এবং রাজ্য সরকার। ব্রাত্যর সংযোজন, রাজভবনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক প্রতিযোগিতার নয়, সহযোগিতার৷ রাজ্যপালের সঙ্গে ভবিষ্যতেও আমরা কাজ করব। উচ্চশিক্ষা দফতর কোনওরকম দ্বৈরথে যেতে চায় না। তবে একথা বলতেই পারি, রাজ্যপালের পাঠানো চিঠির আইনি বৈধতা নিয়ে সংশয় আছে।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বর্ধিত পার্কিং ফি প্রত্যাহার পুরসভার
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রতি সপ্তাহে রাজভবনে রিপোর্ট পাঠানো এবং বড় আর্থিক সিদ্ধান্তের আগে রাজভবনের অনুমতি নিতে হবে, এই এক্তিয়ার রাজভবনের আছে কি না সেটা যেমন আইনি প্রশ্ন। আবার এটা রাজভবনের খবরদারির চেষ্টাও বটে। এরপরেও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শুক্রবার তাঁর নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া দিয়ে সবটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তবে তিনি এও বলেন, গোপালকৃষ্ণ গান্ধী বা জগদীপ ধনকড় কী বলতেন স্পষ্ট বোঝা যেত। এই রাজ্যপাল ভাসা ভাসা কথা বলেন। আমি বলব, রাজ্যপাল যা বলতে চান খোলাখুলি বলতে পারেন এবং খোলাখুলি করতে পারেন। এরপরই শিক্ষামন্ত্রী একটি উদ্ধৃতি তুলে বলেন, একরকম অনুভব করে আর একরকম বলা আসলে পাপ।