আন্দোলনের নামে বাম গুন্ডামি

আন্দোলনের নামে তাণ্ডব ও গুন্ডামি বাম মহিলা, ছাত্র ও যুব কর্মীদের। গেট ভেঙে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মধ্যে ঢুকে যায় আন্দোলনকারীরা

Must read

সংবাদদাতা, বারাসত : আন্দোলনের নামে তাণ্ডব ও গুন্ডামি বাম মহিলা, ছাত্র ও যুব কর্মীদের। গেট ভেঙে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মধ্যে ঢুকে যায় আন্দোলনকারীরা। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করারও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি এবং আন্দোলনকারীদের দলীয় পতাকা লাগানো লাঠি দিয়ে পুলিশ কর্মীদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে পুলিশের লাঠি ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আন্দোলনকারীরা দোকানের বাঁশ তুলে পুলিশকে মারার চেষ্টা করে।

আরও পড়ুন-ঠিকাশ্রমিকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা

বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, জেলা পরিষদে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছেঁড়া হয়েছে। ১২ জন পুলিশ কর্মী জখম। আমরা রাজনৈতিক ভাবে প্রতিহত করব। ক্ষতিপূরণ সিপিএমকে দিতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদরে বাম মহিলা, এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের পক্ষ থেকে একটি ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল। মিছিল করে জেলা পরিষদের গেটের সামনেই আসতেই তাদের বাধা দেয় পুলিশ ও র‍্যাফ। মুহূর্তে বাম মহিলা, ছাত্র ও যুবরা মারমুখী হয়ে ওঠে। তারা পুলিশের উপর আক্রমণ করে, মারধর করে। পুলিশের লাঠি ছুঁড়ে ফেলে। পরে পুলিশের বিশাল বাহিনী এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। তাণ্ডব চলাকালীন জেলা পরিষদে নিজের ঘরে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ।

আরও পড়ুন-বিরাট কন্যাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া ইঞ্জিনিয়ারের মুক্তি

তিনি বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান। ফারহাদ বলেন, আন্দোলনের নামে যেভাবে পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা চালায় তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তারা জেলা পরিষদের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। আইন রক্ষকদের উপর বাম ছাত্র- যুবদের এই পাশবিক তাণ্ডবকে ধিক্কার জানাই। বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। ঘোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Latest article