প্রতিবেদন : সতর্কতামূলক গ্রেফতারি আইন আসলে ঔপনিবেশিকতার প্রতীক। এই আইন রাষ্ট্রের হাতে বিপুল পরিমাণ ক্ষমতা তুলে দিয়ে থাকে। এমনটাই জানাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী ও বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণ্যম এক মামলার রায়ে বলেন, প্রিভেনটিভ ডিটেনশন বা সতর্কতামূলক গ্রেফতারি এক অতিশক্তিশালী আইন। এই আইন রাষ্ট্রের হাতে বিপুল ক্ষমতা তুলে দিতে পারে৷ তাই এই আইন প্রয়োগের আগে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সমস্ত আইনি পদ্ধতি খতিয়ে দেখে তবেই এ ধরনের গ্রেফতারিতে সম্মতি দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন-দরিদ্র কৃষককে কৃষিকাজে সাহায্যে এগিয়ে এল শিবির
বিচারপতি আরও বলেন, যদি দেখা যায় কোনও ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক গ্রেফতারির আগে আইনি পদ্ধতিগুলি সঠিকভাবে মেনে চলা হয়নি বা অযথাই তাড়াহুড়ো করে গ্রেফতার করা হয়েছে সেক্ষেত্রে আটক ব্যক্তি জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবেই বাড়তি সুবিধা পাবেন। ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে আদালতের উপরেই।
আরও পড়ুন-বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে দিলীপ
সাধারণত কোনও অভিযুক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ না থাকলে সরকার মনে করলে প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন আইন বা সতর্কতামূলক গ্রেফতারি আইন ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই আইনের অপব্যবহার করছে শাসক দল। মূলত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধেই এই আইন প্রয়োগ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে আকছার এই আইন প্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারের বিরোধিত করলেই বিরোধীদের উপর এই আইন প্রয়োগ করেছে মোদি সরকার। যার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শীর্ষ আদালতের এদিনের রায় নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি দেবে বিরোধীদের।