নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : প্রদীপের নিচেই অন্ধকার। জি-২০ প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতে হবে এই সম্মেলন। রুটিন এই দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টিকে যথারীতি নিজের কৃতিত্ব বলে প্রচার করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনের কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধিরা ভারতে আসছেন, আর সেই কারণেই রাজধানী দিল্লিতে রূপান্তরকামী, ভিক্ষুকদের বাইরে বেরোনো বন্ধ করে কার্যত ঘরবন্দি করে রেখেছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন-বহু মানুষের অপেক্ষা, গরমে হয়রানি, বিতর্কে জনরাজভবন ব্রাত্য রইলেন জনতাই
পুলিশের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের যেন কোনওভাবেই রাস্তায় দেখা না যায়। যদিও তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করেনি সরকার। মোদি সরকারের এই অমানবিক কাজে সহায়-সম্বলহীন রূপান্তরকামী ও ভিক্ষুকরা কার্যত না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। বিদেশের কাছে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে গিয়ে চরম বিপন্নতার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে কিছু অসহায় মানুষকে।
আরও পড়ুন-পয়লাতেই শুভনন্দন শপথ শুরু পুজো কমিটির
দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির সীতাপুরীতে এক গলির মধ্যে থাকেন অধিকাংশ রূপান্তরকামীরা। রূপান্তরকামীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের শেলটার হোম বা গরিমা গৃহ রয়েছে এখানে। কিন্তু ১৫ মাস ধরে তার অনুদান বন্ধ। একদিকে তাঁদের ও ভিক্ষুকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে সরকারের অনুদানও বন্ধ রাখা হয়েছে। রূপান্তরকামীদের অভিযোগ, তাঁদের ভাতে মারার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। বেলা শর্মা নামে এক রূপান্তরকামী বলেছেন, ভারতকে যদি মহান দেখাতেই হয় তাহলে কি এই দেখনদারিতে সেটা সম্ভব? সরকার যদি তার দেশের মানুষের জন্য কোনও সংস্থানই করতে না পারে তাহলে আমরা যাব কোথায়? সরকার যেন আমাদের পরোক্ষে মরে যেতে বলছে।