বহু মানুষের অপেক্ষা, গরমে হয়রানি, বিতর্কে জনরাজভবন ব্রাত্য রইলেন জনতাই

জনরাজভবন কর্মসূচি এবং হেরিটেজ ওয়ার্কের কথা জানতে পারায় পয়লা বৈশাখের দিন দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই সপরিবারে ভিড় করেছিলেন

Must read

প্রতিবেদন : জনরাজভবন কর্মসূচির সূচনা থেকেই সঙ্গী হল বিতর্ক। নববর্ষের দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে জনসাধারণের জন্য রাজভবনের দরজা খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তা খুলেও দেওয়া হল। কিন্তু ঢুকতে পারলেন না কোনও সাধারণ মানুষ। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
জনরাজভবন কর্মসূচি এবং হেরিটেজ ওয়ার্কের কথা জানতে পারায় পয়লা বৈশাখের দিন দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই সপরিবারে ভিড় করেছিলেন রাজভবনের দরজায়।

আরও পড়ুন-পয়লাতেই শুভনন্দন শপথ শুরু পুজো কমিটির

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজভবনের দরজা খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। যদিও ভিড় করা মানুষদের মধ্যে অনেকেরই দাবি, তাঁরা রাজভবনের ওয়েবসাইট থেকে হেরিটেজ ওয়াকের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সেই সংক্রান্ত কনফার্মেশন এসএমএস দেখান অনেকে। কিন্তু পুলিশ মানতে চায়নি। তবে হেরিটেজ ওয়াক কর্মসূচি হয়েছে। সেখানে যাঁরা হেঁটেছেন তাঁরা সকলেই আমন্ত্রিত বলে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে। সঙ্গে এ-ও জানানো হয়েছে আগামী এক মাস এই হেরিটেজ ওয়াক সম্পূর্ণ আমন্ত্রণমূলকই থাকবে। এর পরে সাধারণ মানুষ রাজভবন ভ্রমণের জন্য অনলাইনে আবেদন জানাতে পারবেন। প্রথমে বিনামূল্যে এবং পরে সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে রাজভবনে প্রবেশাধিকার মিলবে। যাঁরা যাঁরা বুকিং সংক্রান্ত এসএমএস দেখিয়েছেন সেগুলো ভুয়ো বলেও দাবি করা হয়েছে রাজভবনের তরফে।

আরও পড়ুন-মোদির জন্যই পুলওয়ামাকাণ্ড, সত্যপালের বিস্ফোরণে টালমাটাল বিজেপি

প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ মানুষই যদি প্রবেশ-অধিকার না পান তবে জনরাজভবন কর্মসূচির অর্থ কী? কেনই-বা নববর্ষের দিন থেকে সাধারণ মানুষ রাজভবনে ঢুকতে পারবেন বলে প্রচার করে তাঁদের হেনস্থা করা হল? সঙ্গতভাবেই এই প্রশ্নের কোনও জবাব নেই রাজ্যপাল বা রাজভবন কর্তৃপক্ষের কাছে।

Latest article