সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এবার চালু হচ্ছে ডায়ালিসিস। আগামী এক মাসের মধ্যে এখানে ১০ শয্যার ডায়ালিসিস ইউনিটটি চালু হবে। যেখানে যেকোনও সরকারি হাসপাতালের রোগীদের ডায়ালিসিস করা হবে। পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমে হাসপাতালের সবচেয়ে ওপর তলার ৬টি কেবিনে রোগী ভর্তির ব্যবস্থা করার জন্য এয়ারকুলার মেশিন ভাড়া নিয়ে বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-জোকা-তারাতলায় দ্বিগুণ মেট্রো
ডায়ালিসিস ইউনিটটি কীভাবে চালু করা হবে বৈঠকে তার চূড়ান্ত রূপরেখাও তৈরি করা হয়। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ও বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘এখানে ২৪ ঘণ্টা ডায়ালিসিস ইউনিটটি চালু থাকবে। সবসময় একজন চিকিৎসক ডায়ালিসিস ইউনিটে থাকবেন। রোগ প্রতিরোধ কম ক্ষমতাসম্পন্ন রোগীদেরও এখানে ডায়ালিসিস করার জন্য সম্পূর্ণ আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। সমস্ত সরকারি হাসপাতালের রোগীরা ছাড়াও ক্রনিক রেনাল ফেলিওরের রোগীরাও এখানে ডায়ালিসিস করাতে পারবেন। ন্যূনতম খরচে এখানে ডায়ালিসিস করা হবে। ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে এখানে ডায়ালিসিস ইউনিটটি পুরোদমে চালু হয়ে যাবে। কীভাবে এই ডায়ালিসিস ইউনিটটি চলবে এবং হাসপাতালের কোথায় এটি চালু হবে এদিন তা চূড়ান্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন-সিআইডির জেরা বিজেপি বিধায়ককে
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন বহু মানুষের ডায়ালিসিস করার প্রয়োজন হয়। অনেককেই ডায়ালিসিস করাতে বহু জায়গায় যাওয়া আসা করতে হয়। সেই সমস্যার কিছুটা সুরাহা করতেই আমরা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে শীঘ্রই ১০ শয্যার ডায়ালিসিস ইউনিটটি চালু করতে চলেছি।’ এরই পাশাপাশি এখানাকার ওপর তলার ৬টা কেবিনে প্রচণ্ড গরমে রোগী ভর্তি করতে না পারার কারণে ওই কেবিনগুলিতে ভাড়া নিয়ে এয়ারকুলার মেশিন বসানোরও ব্যবস্থা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের নির্মীয়মাণ ৩ তলা বিল্ডিংয়ের কাজের অগ্রগতির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। নতুন ওই ভবনটি তৈরি হয়ে গেলে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে গবেষণার কাজের পরিধি বাড়বে। সেইসঙ্গে হাসপাতালে বেড সংখ্যা এবং ডাক্তারি পড়ুয়ার আসনও বাড়তে পারে।