প্রতিবেদন : পূর্বানুমান সঠিক প্রমাণ করেই জনসংখ্যায় চিনকে পিছনে ফেলে দিল ভারত। ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ড জানাচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা এখন ভারতে। চিনের থেকে ভারতের জনসংখ্যা অন্তত ২৯ লাখ বেশি। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে এখন জনসংখ্যা ১৪২.৮ কোটি। তুলনায় চিনের জনসংখ্যা ১৪২.৫ কোটি। ২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১৪০ কোটি আর চিনের ১৪১.২৪ কোটি। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৯ শতাংশের বাস ছিল চিনে এবং ১৮ শতাংশের ভারতে। কিন্তু সেই সমীকরণ বদলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-গরমে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন রাজ্যে
বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস, ২০৩০ সাল নাগাদ অন্তত ১৫০ কোটি জনসংখ্যা দাঁড়াবে ভারতের। চিন থাকবে দ্বিতীয় স্থানে। ভারতের বর্তমান জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি বা ৬৮ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে। যাদের কর্মক্ষম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে ভারতীয় পুরুষের গড় আয়ু ৭১ এবং মহিলাদের ৭৪।
রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, গোটা বিশ্বের জনসংখ্যা পেরোতে চলেছে ৮০০ কোটির গণ্ডি। ২০৩০ সালে তা ৮৫০ কোটি, ২০৫০-এ ৯৭০ কোটি এবং ২১০০ সালে বিশ্বের সম্ভাব্য জনসংখ্যা হতে চলেছে ১০৪০ কোটিরও বেশি। বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান থাকবে ভারতেরই।
আরও পড়ুন-ট্রপিক্যালে ডায়ালিসিস রোগীদের কুলার
২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের যে পূর্বাভাস করা হয়েছে, তার অধিকাংশই দেখা যাবে আটটি দেশে। যার মধ্যে রয়েছে ভারত, কঙ্গো, মিশর, ইথিয়োপিয়া, নাইজিরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপিন্স, তানজানিয়া।
আরও পড়ুন-জোকা-তারাতলায় দ্বিগুণ মেট্রো
২০২২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দুই জনবহুল অঞ্চল ছিল পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া। এই দুই অঞ্চলের মধ্যেই পড়ছে ভারত এবং চিন। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বর্তমান জনসংখ্যা ২৩০ কোটি। যা বিশ্বের ২৯ শতাংশ। অন্য দিকে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় ২১০ কোটি জনসংখ্যা। যা গোটা বিশ্বের ২৬ শতাংশ। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০৩৭ সালের ভিতরে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চলের তকমা পেতে চলেছে। কারণ ২০৩০ সাল নাগাদ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জনসংখ্যা ক্রমশ কমতে শুরু করবে।