আজ সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ কোচবিহারে (Cochbhear) পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হবে মঙ্গলবার। রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক জানান, এই অভিনব কর্মসূচিতে বাংলার মানুষ নিজেদের প্রার্থী নিজেরাই বেছে দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন-শিবঠাকুরের গানে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে বিপাকে র্যাপার বাদশা, চাইলেন ক্ষমা
স্বচ্ছ, রক্তপাতহীন নির্বাচন করাই লক্ষ্য। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন ভালো মানুষ প্রার্থী হবেন- মত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, এত বড় অভিনব কর্মসূচি বাংলা কেন ভারতেও এর আগে কোথাও কখনো নেওয়া হয়নি। বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে এগিয়ে জানতে চাওয়া হবে, তাঁরা প্রার্থী হিসেবে কাকে চাইছেন। এই অভিনব প্রক্রিয়া আগামী দিনে দেশকে পথ দেখাবে বলে মত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। কোচবিহার থেকে যাত্রা শুরু করছেন অভিষেক। বামনহাটা একেবারে বাংলাদেশ সীমান্ত লাঘোয়া একটি গ্রাম সেখানেই সোমবার রাতে তাঁবুতে থাকবেন। কোচবিহার থেকেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কর্মসূচি শুরু হবে।
আরও পড়ুন-বিজেপিকে হটানোর লক্ষ্যে বিরোধী জোটের বার্তা বাংলা-বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীদের সাক্ষাৎ ও আলোচনা করা স্বাভাবিক। দুই মুখ্যমন্ত্রী বসে আলোচনা করতে পারেন কীভাবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায়।”
আরও পড়ুন-তৃণমূলে নবজোয়ার: অভিষেক ও দলের কর্মীদের অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর
কোচবিহারে পৌঁছনোর পর এবিএন কলেজ মাঠ থেকে হেঁটেই মদন মোহন মন্দিরে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তা দু’ধারে জনতা তাঁকে বিপুল উৎসাহে স্বাগত জানায়। এরপর মদন মোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে বামনহাটার উদ্দেশ্যে রওনা দেন অভিষেক। রাতে সেখানেই থাকবেন তিনি। কোচবিহারে তিন দিন। তারপর আলিপুরদুয়ার। তারপর জলপাইগুড়ি যাবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।