৫০০ বর্গফুটের কম আয়তনের দোকানের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স (Trade license) ফি (Fee) ছাড়া আর কিছু দিতে হবে না। আগে দোকানের ময়লা পরিষ্কার, পানীয় জল ব্যবহারের জন্য আলাদা ফি দিতে হত যেকোন ছোট ব্যবসায়ীকে। সোমবার এই নিয়ে একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৫০০ বর্গফুটের কম দোকানের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স ফি নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-শৌচাগারে প্রসব করে জানালা দিয়ে সন্তানকে ছুঁড়ে ফেললেন মা
ট্রে়ড লাইসেন্স ফি নিয়ে সোমবার সকাল থেকেই কলকাতা পুরসভায় সমস্যা চলছিল। বিজেপির পুর প্রতিনিধি এদিন দফায় দফায় এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। পুর কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। দুপুর নাগাদ এই সংক্রান্ত মেয়র পারিষদের এক বৈঠক হয় । সেখানেই ছোট দোকানের ক্ষেত্রে জল ও আবর্জনার জন্য আলাদা ফি মুকুব করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-আইপিএল স্টেডিয়ামে বসে খাওয়া যাবে বিয়ার
এই নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বিরোধীরা কী বলল জানি না। ছোট ব্যবসায়ীদের কথা ভেবেই পুরসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ মেয়র বলেন,’যাঁরা ছোট ব্যবসায়ী তাঁদের থেকে জল সরবরাহ, নিকাশি ও আবর্জনা পরিষ্কার বাবদ আর কোনও অতিরিক্তি টাকা নেওয়া হবে না। হোটেল ও রেঁস্তোরা বাদ দিয়ে যাঁদের দোকান ৫০০ বর্গফুট তাঁদের জন্য এই নিয়ম কার্যকরী হল। ছোট ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্সের টাকা দিলেই ব্যবসা করতে পারবেন।’
আরও পড়ুন-স্ট্যালিন ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি-সহ একাধিক ডিএমকে নেতার বাড়িতে আয়কর হানা
তিনি বলেন,’গ্র্যান্ড হোটেলের মতো শতাব্দী প্রাচীন হোটেলের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ আড়াই হাজার টাকার বেশি নেওয়া হয় না। খাবারের দোকানে বেশি উচ্ছিষ্ট জমে। পানীয় জলও সেখানে অনেক বেশি প্রয়োজন। তাই তাদের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াও অন্যান্য পরিষেবা ব্যবহারের জন্য টাকা দিতে হবে। দোকনদাররা নিজেরাই হলফনামা দিয়ে জানাবেন কতটা পানীয় জল ব্যবহার করছেন তাঁরা, কতটা আবর্জনা দোকান থেকে তুলতে হচ্ছে। সেই অনুযায়ী টাকা নেবে পুরসভা।’