‘আপনি যাকে প্রার্থী হিসেবে মান্যতা দেবেন, দলের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে আমরা তাঁকে জিতিয়ে আনব’ বার্তা অভিষেকের

মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই জনসংযোগ যাত্রার প্রথম দিন। আজ কোচবিহার থেকে শুরু হচ্ছে অভিষেকের এই জনসংযোগ কর্মসূচি।

Must read

আগামী দুই মাস ধরে জেলায় জেলায় ঘুরে সাধারণ মানুষের কথা শুনবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। প্রথম থেকেই পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হবে । মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই জনসংযোগ যাত্রার প্রথম দিন। আজ কোচবিহার থেকে শুরু হচ্ছে অভিষেকের এই জনসংযোগ কর্মসূচি।

আরও পড়ুন-কলকাতা পুরসভার আওতায় ছোট দোকানদারদের আর দিতে হবে না জল, আবর্জনা ফি

অভিষেক এদিন বললেন, ‘আপনার বুথে কে প্রার্থী হবে, তা তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক করবে না। আপনি যাঁকে প্রার্থী হিসেবে মান্যতা দেবেন, দলের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে আমরা তাঁকে জিতিয়ে আনব। মানুষ ঠিক করবে মানুষের প্রার্থী কে। শুধু নিজের ভোট নিজে দিন, এই কথা নয়। নিজের ভোট তো নিজে দেবেনই। সেই সঙ্গে নিজের প্রার্থী বেছে নিন। এটা কেউ করবে না। আমাদের দরকার ছিল না রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে থাকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ২০২৬ সালের মে মাস পর্যন্ত ক্ষমতায় রয়েছে। তার আগেই আমরা রাস্তায় নেমে আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। কারণ একজন বিধায়ক বা সাংসদ উন্নয়ন করতে চাইলেও পঞ্চায়েতে সঠিক প্রতিনিধি না থাকলে উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়।’

আরও পড়ুন-শৌচাগারে প্রসব করে জানালা দিয়ে সন্তানকে ছুঁড়ে ফেললেন মা

অভিষেক এদিন স্পষ্ট করেই বললেন, ‘আগামী পঞ্চায়েতে কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগ নয়, মোদীজির ৫৬ ইঞ্চির ছাতি নয়, বালাকোটের নামে নয়, আপনার বাড়ির শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে ভোট দিতে হবে। গ্রামে যাতে রাস্তা হয় এবং একশো দিনের কাজের টাকার দাবি যাতে দিল্লির বুক থেকে আপনি ছিনিয়ে আনতে পারেন, সেই জন্য ভোট দিতে হবে। নিজের অধিকার বুঝে নিতে, নিজের প্রার্থীকে বেছে নিতে ভোট দিতে হবে।’

আরও পড়ুন-আইপিএল স্টেডিয়ামে বসে খাওয়া যাবে বিয়ার

এদিন উত্তরবঙ্গের ইস্যুতে মুখ খোলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘তথাকথিত উত্তরবঙ্গ বলে একটি শব্দবন্ধ ব্যবহার করে কেউ কেউ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তাঁদের ভোট নিয়ে পৃথক রাজ্য করার দাবি তুলেছে। তারা আপনাদের পাশে কখনও দাঁড়ায়নি। আগামী দিনে যখন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন, নিজের পঞ্চায়েতের কথা ভেবে করবেন। ২০১৯ সালে যখন আপনারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন, তখন একশো দিনের কাজ, আবাস, গ্রামের রাস্তার কথা ভেবে করেননি। কেউ বুকে হাত রেখে বলতে পারবেন ২০১৯ সালে গ্রামের রাস্তা, পানীয় জল, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের উন্নতির কথা সামনে রেখে ভোট দিয়েছিলেন?’

আরও পড়ুন-স্ট্যালিন ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি-সহ একাধিক ডিএমকে নেতার বাড়িতে আয়কর হানা

দলের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটাই অহঙ্কার। তা হল মানুষের সমর্থন এবং আগামী দিনে মানুষের পঞ্চায়েত গঠন করা। আপনারা পঞ্চায়েতে কাকে প্রার্থী চান, তা জানতে এসেছি। আমি এখানে রাজনৈতিক কথা বলতে আসিনি। রাজনৈতিক কথা হয়ত সারাবছর আপনারা শোনেন আমার মুখ থেকে।’

আরও পড়ুন-বোলারদের দাপটে জয় দিল্লির

অভিষেক এদিন বলেন, ‘একটু অসুবিধা, কষ্ট হলেও, আগামী দিনে মানুষের পঞ্চায়েতের কথা ভেবে আমার কথা আপনাদের শুনতে হবে। দুই মাসের জন্য ঘর-বাড়ি-পরিবার-বন্ধু-বান্ধব সব ছেড়ে এসেছি আপনাদের সঙ্গে থাকব বলে। কোনও শাসক দল এভাবে রাস্তায় নামে না, বিরোধী দল নামে। আমরা ক্ষমতা থেকেও রাস্তায় নামছি, মানুষের পাশে যাচ্ছি। কারণ আমাদের কোনও অহঙ্কার নেই।’

Latest article