প্রতিবেদন : ফের আন্দোলনের নামে অশান্ত কালিয়াগঞ্জ। এক কিশোরীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা ছড়ায় কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটায়। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের গ্রেফতারি ও শাস্তির দাবিতে ফের নতুন করে আন্দোলনের নামে অশান্তি শুরু করে বিজেপি। এরই মধ্যে কালিয়াগঞ্জ নিয়ে জনস্বার্থ মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, মামলাকারীর দাবি মেনে দ্রুত শুনানি সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন-‘এবার আর ধর্মের ভিত্তিতে ভোট নয়’ BSF-নিশীথকে নিশানা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আগামী সোমবার মামলার শুনানি হতে পারে। এদিন রাজবংশী তফসিলি ও আদিবাসী সংগঠনগুলির সমন্বয় কমিটিকে সামনে রেখে থানায় হামলা চালায় বিজেপির গুন্ডারা। হামলাকারীরা থানায় আগুন লাগিয়ে দেয়। দেদার ইটবৃষ্টি হয় পুলিশের ওপর। জখম হন একাধিক পুলিশকর্মী। এক সিভিক ভল্যান্টিয়ারকে রাস্তায় ফেলে বেদম মারে জনতা। তারপরও ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলেছে পুলিশ। এডিজি উত্তরবঙ্গ অজয়কুমার জানিয়েছেন, পরিকল্পনা করেই হামলা চালানো হয়েছে। মহিলারা সামনে থাকায় পুলিশ লাঠি চালাতে পারেনি। ঘটনায় ১৭ জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। তার মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। হামলাকারীদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। শিগগিরই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃতার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে পরিষ্কার বলা হয়েছে, বিষক্রিয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে। তারপরও মিথ্যে অভিযোগে বিজেপি নেতারা যেভাবে গত কয়েকদিন ধরে গোটা এলাকাকে অশান্ত করে তুলেছেন তা ভাল ভাবে নিচ্ছে না স্থানীয় মানুষ।
আরও পড়ুন-জুন নয়, তবে কবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ?
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয়েছে কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, জল কামান ব্যবহার করে পুলিশ। কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে পালোইবাড়ি সাহেবঘাটা সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। অভিযোগ, মঙ্গলবার ডেপুটেশন দেওয়ার নামে থানায় এসে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। তাদের হামলায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা। কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। থানার একটি গাড়িতেও আগুন লাগায় হামলাকারীরা। পাশের একটি পাঁচিলও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় তারা।