ঘুঘুমারিতে আজকের সভায় দলীয় নেতৃত্বকে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) নিজেদের অবস্থান সাফ করে দিলেন। কেন দলের এই কর্মসূচি, নির্বাচনের আগে এই ভোটগ্রহণ পর্ব সবকিছুই তিনি নিজের বক্তব্যে রাখেন।
আরও পড়ুন-‘আপনি যাঁকে মান্যতা দেবেন, তৃণমূল সর্বশক্তি দিয়ে তাঁকেই জেতাবে’, ঘুঘুমারিতে সাফ কথা অভিষেকের
এদিন অভিষেক সুপারিশের মাধ্যমে ব্যালট পেপারে নিজের নামটা দেওয়ানোর চেষ্টা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘কাউকে একটু প্রভাবিত করে, সুপারিশ করে একটা ব্যালট পেপারে নিজের নামটা দেওয়ানোর চেষ্টা করলে, সেটা কিন্তু নয়। যদি আমার নামেই ১০ টা রেকমেনডেশন পড়ে, প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আমি এগিয়ে থাকলাম, এটা ভাবলে ভুল। যে নম্বরটা দিলাম, সেখানে তৃণমূল সমর্থকরা তো ফোন করলাম, সাধারণ জনগণও ফোন করছেন। তাই যাঁরা ভাবছেন নিজেদের নামে ২০টা ভোট বেশি ফেলিয়ে আমার জায়গা সুরক্ষিত করলাম, তাঁরা মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন।এই প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যে। এটা তার প্রাথমিক ধাপ।’
আরও পড়ুন-‘ওন্ট বি ব্য়াক ফর মেনি এ ডে’ প্রয়াত হ্যারি বেলাফন্টে
ব্যালট বাক্স-বিশৃঙ্খলার পর এবার আরো সতর্ক হলেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তিনি বলেন, ‘আপনাদের পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন থাকবে। কারোর বাবার নাম, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর থাকবে না। নিশ্চিন্তে ভোট দিন। কেউ জানতে পারবেন না। তবে শৃঙ্খলাপরায়ণ হয়ে ভোট দেবেন।মোদী যবেথেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, কোচবিহারে একটা পর্যালোচনা বৈঠকও করেনি বিজেপি। যদি এখানে কোথাও করে থাকে, তাহলে আমি এখানে যাত্রা বন্ধ করে দেব। সেখানে আমি পা রাখব না। যদি কেউ দেখাতে পারে ৯ বছরে একটাও মিটিং করেছে বিজেপি, সেখানে আমি ভোট চাইতে যাব না।পঞ্চায়েতে তৃণমূল জিতলেও রাস্তা হচ্ছে, হারলেও হচ্ছে। একশো দিনের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। বাংলাই একমাত্র রাজ্য, যেখানে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারেনি বিজেপি।’
আরও পড়ুন-দক্ষিণবঙ্গে ফিরছে ভ্যাপসা গরম, বৃষ্টি কবে?
২০১৯ এর হার নিয়ে তিনি এদিন বলেন, ‘২০১৯ কিংবা ২০২১এ যাঁরা ভোট দিয়েছিলেন, প্রথমে ৯ টার মধ্যে ৭টায় হেরেছিলাম, পরে দিনহাটা উপনির্বাচনে আমরা ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ব্যবধানে সেটি জিতেছি। আজ ৯টা বিধায়কের মধ্যে ৬ বিধায়ক বিজেপি। কিন্তু একদিন দেখান বিধানসভায় গিয়ে আপনাদের স্বার্থে একজনও কেউ প্রশ্ন করেছেন? গলায় গেরুয়া উত্তরীয় জড়িয়ে বিধানসভায় গিয়ে এক মিনিটের মধ্যে ওয়াকআউট করে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কলকাতায় গিয়ে ফুর্তি করছেন। এই বিধায়ক নির্বাচিত করেছিলেন?আপনারা যে সাংসদকে নির্বাচিত করেছিলেন, তিনি দুটো মন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন, তিনি যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া ও স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী। সেই স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে বিএসএফ। বিএসএফ কীভাবে কোচবিহারের মানুষের ওপর, রাজবংশীদের ওপর অত্যাচার করেছে, আপনারা দেখেছেন।’