প্রতিবেদন : দু’দিন আগে ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়ায় মাওবাদীদের আইইডি বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছেন ১০ জন পুলিশকর্মী ও তাঁদের গাড়িচালক। জানা গিয়েছে, ভয়াবহ এই মাওবাদী হামলায় যে ১০ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৫ জনই অতীতে মাওবাদী ছিলেন। সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে জীবনের মূলস্রোতে ফিরেছিলেন তাঁরা। যোগ দিয়েছিলেন পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) বিভাগে। এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, মাওবাদীরা বদলা নিতেই কি এই হত্যালীলা চালিয়েছে? অনেকেই মনে করছেন, মাওবাদীদের ধারণা যাঁরা সন্ত্রাসবাদ ছেড়ে জীবনের মূল স্রোতে ফিরে গিয়েছেন তাঁরা সংগঠনের অনেক গোপন খবর প্রশাসন ও পুলিশের কাছে ফাঁস করে দিয়েছেন। সে কারণেই তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা। বলা যেতে পারে বদলা নিতেই এই খুনের পরিকল্পনা।
আরও পড়ুন-শিন্ডে শিবিরে জোর ধাক্কা
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এঁরা সকলেই আত্মসমর্পণ করেন এবং মাওবাদের পথ ছেড়ে ছত্তিশগড় পুলিশে যোগ দেন। আত্মসমর্পণকারীরা হলেন, হেড কনস্টেবল জগা সোদি (৩৫), মুন্না কাডতি (৪০), কনস্টেবল হরিরাম মাণ্ডবী (৩৬), জগা কাওয়াসি (২২), রাজুরাম কারতম (২৫)। জগা সুমার আরলামপল্লি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন, মুন্না কাডতির বাড়ি ছিল দান্তেওয়াড়ার মুদর গ্রামে। তাঁরা দু’জনেই ২০১৭ সালে আত্মসমর্পণ করে পুলিশে যোগ দেন। তেমনই দান্তেওয়াড়ার বাসিন্দা হরিরাম মাণ্ডবী এবং রাজুরাম কারতম ২০২০ ও ২২ সালে যোগ দেন পুলিশে। দান্তেওয়াড়ার বড়ে গদাম গ্রামের বাসিন্দা জগা কাওয়াসি গতমাসেই যোগ দিয়েছিলেন পুলিশে।
আরও পড়ুন-তদন্ত শেষ না করে চার্জশিট নয়, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
বস্তারের দান্তেওয়াড়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চলে বিগত কয়েক বছর ধরে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা চলছে। প্রশাসনের তরফে স্থানীয় যুবকদের কাছে সন্ত্রাসের পথ ত্যাগ করে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, আত্মসমর্পণকারীদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছে সরকার। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েই দলে দলে বহু যুবক মাওবাদের পথ ত্যাগ করে রাজ্য পুলিশে যোগ দেন। নিহত পাঁচজনও ছিলেন তাঁদেরই মধ্যে।