প্রতিবেদন : আরও একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। ওড়িশার পাশাপাশি বাংলাতেও প্রকোপ পড়তে পারে তার। আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই জারি করা হয়েছে সতর্কতা। তবে সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে। কেউ ঘূর্ণিঝড়ের উল্লেখ করছেন ‘মোচা’ (mocha cyclone) হিসেবে, কেউ আবার বলছেন ‘মোকা’। আসল উচ্চারণ কী, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সঠিক উচ্চারণ কী হওয়া উচিত, তার ব্যাখ্যা মিলল। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘মোকা’ (mocha cyclone)। কেন এমন নাম রাখা হল, তা নিয়ে বিশদ তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ‘মোকা’ শব্দটি এসেছে ইয়েমেনে ব্যবহৃত শব্দ থেকে। লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত ইয়েমেনে ‘মোকা’ নামের একটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে। সেই অনুসারেই নাম রাখা হয়েছে। এই ‘মোকা’ সমুদ্রবন্দর থেকেই মোকা কফির নামকরণ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকার কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়? জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৫ মে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। ৬ মে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পারদ আবার ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছোঁবে। তবে তারপরই রয়েছে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। ৭ মে থেকে নিম্নচাপ ঘনীভূত হবে। ৯ তারিখ মধ্য বঙ্গোপসাগরে সেই নিম্নচাপ থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতি এবং অভিমুখ পরে জানানো হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠে সে কতটা শক্তি সঞ্চয় করছে এবং সেইসময় বায়ুস্তরের অভিমুখ কোনদিকে থাকবে, তার উপর ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ও শক্তি নির্ভর করবে। কিন্তু তার অভিমুখ এখনই নিশ্চিত নয়।
আরও পড়ুন-নবজোয়ারে ভেসে গিয়েছেন অভিষেক, আশীর্বাদ-ভালোবাসায় হাতে বাড়ছে ব্যান্ডেডের সংখ্যা