বৃহস্পতিবার বিকেলে কঙ্কালীতলায় মায়ের মন্দিরে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঢুকছেন তখন মন্দির চত্বর তো বটেই, তার আশপাশের এলাকাতেও তিল ধারণের জায়গা নেই। গোটা মন্দির ঘিরে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ। আট থেকে আশির সেই ভিড়ে সব সম্প্রদায়ের মানুষ হাজির। এদিন তিনি রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনায় পুজো দিলেন এখানে। বললেন, মাগো সকলের মঙ্গল করো। আমি আবার আসব এখনে। অভিষেক আসার অনেক আগে থেকেই পুরো ব্যবস্থাপনার তদারকি করছিলেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ (রানা) এবং নানুরের দাপুটে নেতা কাজল শেখ। আর ছিলেন ওই অঞ্চলের বুথ সভাপতি অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তৈরি ছিলেন মূল পুরোহিত ও পালাদার মহাদেব চৌধুরী আর সোমনাথ মিশ্র। এই দু’জনে মিলে প্রায় পঁচিশ মিনিট ধরে পুজো করান অভিষেককে। পুজোর পরে মন্দিরের পুণ্য পুকুরের জল ভক্তিভরে মাথায় নেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এরপর মন্দির চত্বরে অপেক্ষারত সকলের সঙ্গে কথা বলেন। শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। কাপাসটিকুরির রামকৃষ্ণ সারদা মিশন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বিমলা মা ও বাচ্চারা অভিষেকের হাতে কঙ্কালী মায়ের ছবি ও অন্যান্য উপহার তুলে দেন। মিশনের পক্ষ থেকে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় একটি ফাইল তুলে দেওয়া হয় অভিষেকের হাতে। এরপর তিনি রওনা হয়ে যান লাভপুরের সভার উদ্দেশ্যে। তার আগে অবশ্য ইলামবাজারে রোড শো করেন। রামনগরে আদিবাসী ও তফসিলি জাতির লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর বোলপুরের জামবনি মোড়ে রবি ঠাকুরের মূর্তিতে মালা দেন। এদিন লাভপুরের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় লাউ দিয়ে বানানো একতারা এবং সপ্তম শ্রেণির একটি মেয়ের হাতে আঁকা তাঁরই একটি অপূর্ব ছবি। তিনদিনের সফরে অন্তরের ভালবাসা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বীরভূমবাসী বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।