সংবাদদাতা, কাটোয়া : নিরাপত্তার কঠোর বেষ্টনী পেরিয়ে কথাটা পেড়েছিলেন সুশান্ত দে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমস্যার কথা শোনাতে পেরেছিলেন কাটোয়ার ঘোড়ানাশ গ্রামের তাঁতশিল্পী সুশান্ত। সংশ্লিষ্ট জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম ঘোষালকে সঙ্গে করে অভিষেককে আর্জি জানিয়েছেন, ‘তাঁতশিল্পে গতি আনতে কিছু করুন।’ আর্জি মঞ্জুর হয়েছে। ঠাসা কর্মসূচি আর চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যেও ‘অল্প সময়েও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন দিয়ে শোনায়’ খুশি গৌতমবাবু।
আরও পড়ুন-আইসিএসই ও আইএসসি কৃতীদের রাজ্যের অভিনন্দন, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা সম্বিতের
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপধ্যায়। তাঁতশিল্পীদের পাশে থাকবেন বলেও কথা দিয়েছেন। কাটোয়ার জগদানন্দপুর রাধাগোবিন্দ জিউর মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই নিজেদের সমস্যার কথা শোনাতে জড়ো হয়েছিলেন এলাকার ঘোড়ানাশ, মুস্থুল, আমডাঙার তাঁতশিল্পী ও শ্রমিকরা। কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাম আমলে ধুঁকতে থাকা তাঁতশিল্পে জোয়ার এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-কৃতী শুভমকে ফোনে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
অভিষেক তাঁর কর্মসূচিতে এসে শুধু তাঁতিদের সমস্যাই শোনেননি, তাঁকে বরণ করতে আসা ঢাকিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঢাকিরা রাজ্য সরকারের শিল্পী-ভাতা নিয়মিত পাচ্ছে কিনা জানতে চেয়েছেন। অভিষেক ‘অভিভাবকের মতো’ যেভাবে এক লহমায় সবস্তরের মানুষজনের হৃদয় জিতে নিয়েছেন তাতে অভিভূত এলাকার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতৃত্ব।