প্রতিবেদন : ৩৮ বছর বয়সেও তিনি ভারতীয় ফুটবলের এক নম্বর তারকা। পোস্টার বয়। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক। সাত বছর পর জাতীয় দলের অধিনায়কের আর্মব্যান্ড তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন তৎকালীন কোচ বব হাউটন। আর এই দায়িত্বই আমূল বদলে দিয়েছিল সুনীল ছেত্রীকে (Footballer Sunil Chhetri)। ‘ব্যাকবেঞ্চার’, ‘প্র্যাঙ্কস্টার’ থেকে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সতীর্থদের নেতা!
দেশের জার্সিতে ১৩৩ ম্যাচে ৮৫ গোল। ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা সুনীল। নেই নেই করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে কাটিয়ে ফেলেছেন ১৮টি বছর। এক সাক্ষাৎকারে এই বর্ণময় সফরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সুনীলের বক্তব্য, ‘‘মাত্র কুড়ি বছর বয়সে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল। তখন আমি ছিলাম নেহাতই একজন তরুণ ফুটবলার। যে সবার পিছনের সারিতে বসত। স্টিভেন ডায়াস, এন পি প্রদীপ আর আমি খুব সিনিয়রদের নিয়ে মজা করতাম। সতীর্থদের নিয়ে প্র্যাঙ্ক করায় আমিই ছিলাম নাটের গুরু।’’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘কিন্তু কোচ বব হাউটন যেদিন আমার হাতে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড তুলে দিলেন, সেদিন খুব চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। তখন নিজেকে বদলাতে শুরু করি। এর আগে শুধু নিজেকেই নিয়েই ভাবতাম। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার পর সতীর্থদের নিয়ে ভাবতে শুরু করি। শুধু মাঠের ভিতরে নয়, মাঠের বাইরেও গোটা দলের কথা ভাবতে হত। কারণ আমি অধিনায়ক। নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, অযথা চাপ না নিয়ে মাঠের ভিতরে এবং বাইরে দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে।’’
সুনীলের (Footballer Sunil Chhetri) বক্তব্য, ‘‘অধিনায়কের দায়িত্ব আমাকে শিখিয়েছে, ভুল হতেই পারে। কিন্তু তুমি যতবড় সিনিয়র খেলোয়াড়ই হও না কেন, হাত তুলে নিজের ভুল স্বীকার করার সাহস দেখাতে হবে। দলের অধিনায়ক যদি যাবতীয় অভিযোগ নিজের কাঁধে নেয়, তাহলে ড্রেসিংরুমের মানসিকতাই পাল্টে যায়।’’