প্রতিবেদন : সকাল থেকে তীব্র গরম। আর দুপুরের পর থেকেই শহর থেকে জেলায় প্রবল ঝড়ের দাপট। সঙ্গে ছিল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। বজ্রপাতের জেরে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। বাঁকুড়ার কুঞ্জবনে আমগাছের ডাল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে কার্তিক পাল নামে এক ব্যক্তির। ঝড়ের দাপটে কলকাতার রেড রোডে ভেঙে পড়ল গাছ। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমানেও চলল ঝড়বৃষ্টির দাপট। মালদহ থেকে বাজ পড়ে ২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। ঝড়ে কার্যত বিধ্বস্ত বর্ধমান স্টেশন চত্বর।
আরও পড়ুন-নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনে যাবে না তৃণমূল কংগ্রেস, রাষ্ট্রপতির বদলে কেন প্রধানমন্ত্রী?
ঝড়ের দাপট ছিল গোটা শহরজুড়েই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বিকেল ৫টায় দমদমে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৭২ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গিয়েছে। প্রায় একই সময়ে আলিপুরে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৭৮ কিলোমিটার গতিবেগে একই ভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। ঝড়ের ধাক্কায় ময়দানে রেড রোডে একটি বড় গাছ ভেঙে পড়ে। একাধিক লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটার খবর এসেছে। তবে লন্ডভন্ড হয়েছে বর্ধমান স্টেশন চত্বর। ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে পড়েছে জাতীয় পতাকা-সহ স্ট্যান্ড। দোকানের ওপর ভেঙে পড়ে গাছের ডাল।
আরও পড়ুন-চড়া রোদ, প্রবল ঝড়বৃষ্টিতেও উন্মাদনা তুঙ্গে, অভিষেকের প্রতীক্ষায় পুরুলিয়া
মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডের ওপরও একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। পাশাপাশি হুগলি ও দুই ২৪ পরগনা থেকেও ঝড়ে বাড়ির চাল উড়ে যাওয়া থেকে গাছ ভেঙে পড়া, বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়ার খবর এসেছে। পলতা স্টেশনে গাছ ভেঙে পড়ায় শিয়ালদহ মেন লাইনে কিছুক্ষণ আপ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এদিন উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ-সহ উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও ছিল ঝড়ের দাপট। সকাল এগারোটার পরই আছড়ে পরে প্রবল ঝড়। কিছুক্ষণ পর নামে বৃষ্টি। ঝড়বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা ছাড়াও শুক্রবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। সঙ্গে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বুধবারও। এই ঝড়বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।