প্রতিবেদন : বাংলায় এসে মঙ্গলবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেখা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধীদের বোঝাপড়া যাতে মসৃণ হয় সেজন্য সক্রিয় হয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। এই বিরোধী জোট গড়ার বিষয়ই নেত্রীর সঙ্গে একদফা পরামর্শ করে যান কেজরি। সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে কেন্দ্রের আনা অধ্যাদেশের তীব্র সমালোচনা করেন। অধ্যাদেশ ইস্যুতে সমর্থন পেতে বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মুম্বই গিয়ে দেখা করেন শিবসেনা নেতা ও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) সঙ্গে। শিবসেনার (Shiv sena) উদ্ধব গোষ্ঠীও অধ্যাদেশ নিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব।
বুধবার সকালে মুম্বইয়ের মাতুশ্রীতে গিয়ে কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) দেখা করেন উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) সঙ্গে। ছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানও। দুই নেতার বৈঠকে দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। পাশাপাশি লোকসভা ভোটে বিরোধী ঐক্য মজবুত করার কথাও বলেন তাঁরা।
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির আমলাদের নিয়োগ ও বদলি সংক্রান্ত প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকবে মানুষের রায়ে নির্বাচিত রাজ্য সরকারের হাতে। সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে মোদি সরকার অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশ জারি করেছে। আপ প্রথম থেকেই এই অধ্যাদেশের তীব্র বিরোধিতা করেছে। এই ইস্যুতে আপের পাশে আসছে দেশের একের পর এক বিরোধীদল ও বিরোধী শাসিত রাজ্য। এদিনের বৈঠকে কেজরির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন উদ্ধবও। তবে শুধু অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে নয়, বিজেপির দুর্নীতির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন উদ্ধব। বৈঠক শেষে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেজরি বলেন, যারা গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী তাদের দেশবিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছেন উদ্ধব। এই দেশবিরোধীদের হঠানোর জন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালাব। কেজরির দাবি, ২০১৪-এর নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত।
আরও পড়ুন-পুরুলিয়ায় বিশেষভাবে-সক্ষম ব্যক্তিকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি অভিষেকের