সংবাদদাতা, কোচবিহার : শহরে রাজআমলের মহাবীর চিলা রায়ের বড় মূর্তি হবে। সফরে এসে কোচবিহারবাসীকে কথা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা রাখলেন তিনি। তাঁর নির্দেশে জেলা প্রশাসন বীর চিলা রায়ের ১৫ ফুটের বিশালাকার ব্রোঞ্জের মূর্তি তৈরি করছে। মূর্তি তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাংলার বিশিষ্ট শিল্পীদের পরামর্শ নিয়ে এই বীরের মূর্তি তৈরি হচ্ছে। শিল্পীরা কোচবিহারে এসে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্রোঞ্জের এই মূর্তি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন-বাম-কংগ্রেস জোটকে প্রত্যাখান মানুষের, সংগ্রামপুরের সভায় শশী পাঁজা
জানা গিয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হবে এই মূর্তি নির্মাণে। মূর্তি ছাড়াও তৈরি হবে বেদি। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানিয়েছেন, চকচকা চেকপোস্ট এলাকায় এই মূর্তিটি স্থাপন হবে। চিলা রায়ের এই বিশালাকার মূর্তি দেখতে ভিড় করবেন পর্যটকরা। বীর চিলা রায়ের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে গতবছর কোচবিহারে এসে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন বীরকে সম্মান জানাতে চিলা রায়ের মূর্তি তৈরি হবে কোচবিহারে৷
আরও পড়ুন-হাইমাদ্রাসায় নজরকাড়া ফল হিন্দুকন্যা নিশার
প্রাচীন ইতিহাস থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত জুড়ে চিলা রায়ের বীরত্বের গৌরবগাথা শোনা যায়। তাঁর যুদ্ধবিদ্যার দূরদর্শিতা ও কলা-কৌশলের পারদর্শিতা অনেক বড় বড় যোদ্ধা অনুসরণ করেছিলেন । চিলা রায়ের নাম এবং খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল দেশ জুড়ে। মহারাজা বিশ্বসিংহের আমলে কোচবিহার রাজবংশের যে সূচনা হয়েছিল তার পূর্ণতা লাভ করেছিল তার সুযোগ্য উত্তরসূরি দুই পুত্র মহারাজা নর নারায়ণ এবং তার ভাই ও প্রধান সেনাপতি শুক্লধ্বজ ওরফে চিলারায় এর হাত ধরে। সেই বীরের সম্মানে কোচবিহারে বিশালাকার ব্রোঞ্জ মূর্তি স্থাপিত হতে চলেছে৷ যার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।