মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান ১২ জুন পাটনায় বিরোধী জোটের বৈঠকে যাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি এদিন জানান, ‘পাটনায় বৈঠক হচ্ছে। আমিই নীতিশ জি-কে অনুরোধ করেছিলাম। এরপর অন্যান্য রাজ্যে হবে। গতকালই আমি নিশ্চিত করেছি আমি যাব।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব মেনেই ১২ জুন পাটনাতে (Patna) বিরোধী জোটের বৈঠক ডেকেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সেখানেই বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠক পাটনায় করার প্রস্তাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৭৪ সালে পাটনার গান্ধী ময়দান থেকেই ‘সম্পূর্ণ ক্রান্তি’র ডাক দেন জয়প্রকাশ নারায়ণ। সেই জোটবদ্ধ আন্দোলনের জেরে পতন হয় তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের। সেই ইতিহাস স্মরণ করেই দিল্লিতে নয়, বিজেপি বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠক পাটনায় করার প্রস্তাব দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই কথা মেনে নিয়েই পাটনাতে জোটের প্রথম বৈঠকের কথা জানান নীতীশ। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “নীতীশজি আমাকে গত পরশুদিন ফোন করেছিলেন। এর আগেও যখন এখানে এসেছিলেন, তখনই আমি তাঁকে বলেছিলাম যে জয়পকাশ নারায়ণের জায়গায় একটা সভা করার। আমি ওঁকে জানিয়েছিলাম যাব। দিল্লিকে তো অনেক মিটিং হয়েছে কিন্তু সফল হয়নি। পাটনাতে বিরোধী দলের মিটিং হবে। কেউ কেউ দিল্লিতে মিটিং করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আঞ্চলিক দলগুলির বিষয় নিয়েও ভাবতে হবে। আমি পাটনাতে মিটিং-এ যাচ্ছি”
আরও পড়ুন-‘আমি কোনও শান্তি বিঘ্নিত করতে চাই না, কোনও নিয়মও লঙ্ঘন করব না’ মনিপুরে যেতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিরোধী জোটের সলতে পাকাতে নীতীশ কুমার যখন কলকাতায় বৈঠক করেন, তখনই ২১ বিরোধীদলের অনুপস্থিতিতে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিনই বৈঠকের দিন ঘোষণা করেন নীতীশ। বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, অখিলেশ যাদবের থাকার কথা।
আরও পড়ুন-এক বছরে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মী নিয়োগ, নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশকে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, ওনাকে থ্যাঙ্কস। জাতীয় দলের মর্যাদার বিষয় নিয়ে তুলোধনা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, দেশের কয়েকটি রাজ্যে ছিল তৃণমূল। কিন্তু সেখানেই তাদের পাশে থাকেনি কংগ্রেস। ২৭ পর্যন্ত ন্যাশনাল পার্টির মর্যাদা ছিল তৃণমূলের। তা সত্ত্বেও কেটে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন-মোদি স্টেডিয়ামের দুরাবস্থা তুলে ধরে শাহকে কটাক্ষ তৃণমূলের
কেন্দ্রের বঞ্চনা প্রসঙ্গেও তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আগেই বলেছিলাম ২০২৪ পর্যন্ত টাকা দেবে না। এবছর নারেগা-য় বাংলাকে এক টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। মমতার কথায়, যখন প্রয়োজন বুঝব আমরা আমদের দাবি জানিয়ে দিল্লি যাব।“