আমেদাবাদ, ৩০ মে : তিনি আছেন। তিনি থাকবেন। হয়তো আর একটা আইপিএল…।
মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেই তবু সবটা স্পষ্ট হচ্ছে না। যিনি এক লহমায় অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজের মাঝখানে বেরিয়ে আসতে পারেন। আবার যিনি অবলীলায় বলেও দিতে পারেন, ‘‘সেই মার্চ থেকে আইপিএল প্রস্তুতি শুরু করেছি। এবার দেখব শরীর কোথায় দাঁড়িয়ে।” তবে ভক্তদের জন্য ভাল খবর, এমএসডি শুধু তাদের উপহার দেবেন বলেই ৪২-এও ২২ গজে থাকবেন বলে ভাবতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন-এমন অলৌকিক কাণ্ড তুমিই পারো, ধোনিকে শ্রীনি
মোতেরায় তখন পুব আকাশে প্রায় নতুন ভোরের সূচনা হচ্ছে। আইপিএলের ইতিহাসে এমন ভোর রাতে ট্রফি তোলার কোনও নজর নেই। তবে তিনি, এম এস ধোনি যথারীতি দলের সবাইকে সামনে ঠেলে নিজে দাঁড়ালেন সবার পিছনে। এভাবেই পনেরো বছর ধরে সিএসকের সব ঝড়-ঝাপটায় সবার মাথার উপর ছাতা মেলে ধরেছেন। সুতরাং আরও একটা ট্রফি জিতে ‘আমি চললাম’ বলে রাঁচির জীবনে ফেরত যেতে চাইলেও সেটা সহজ ছিল না ক্যাপ্টেন কুলের কাছে।
ঘড়ির কাঁটা এইমাত্র তিনটে পার করল। তার ঠিক একটু আগে তিনি পুরস্কার মঞ্চে বলে এসেছেন, ‘‘পরিস্থিতির বিচারে এটাই আমার অবসরের উপযুক্ত সময়। সব জায়গা থেকে যে পরিমাণ ভালবাসা আমি পেয়েছি, তাতে এখন থেকে বেরিয়ে যাওয়াই হল সহজ উপায়। আর কঠিন ব্যাপার হল পরের ৯ মাস কঠোর পরিশ্রম করে আরও একটা আইপিএল খেলার চেষ্টা করা।”
আরও পড়ুন-সই চাওয়ায় ধোনি অবাক হয়েছিল: সানি
তিনি নিজেও জানেন না ৪১-এর শরীর আরও ৭-৮ মাস পর কেমন থাকবে। কিন্তু পঞ্চমবারের মতো আইপিএল জিতে ধোনি আশ্বস্ত করলেন, তাঁকে আবার ২০২৪ আইপিএলে দেখা যেতেই পারে। ঠিক কী বলেছেন চেন্নাই অধিনায়ক? এটাই যে, এত বছরে যাঁরা তাঁকে ভালবাসার নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন, আরও একটা বছর খেললে সেটা তাঁর তরফে তাঁদের জন্য উপহার হতে পারে।
আরও পড়ুন-সই চাওয়ায় ধোনি অবাক হয়েছিল: সানি
ধোনি বলেন, ‘‘এটা আমার তরফে উপহার। জানি শরীরের দিক থেকে ব্যাপারটা সহজ হবে না। কিন্তু আবেগেরও ব্যাপার আছে। সিএসকের প্রথম ম্যাচে সবাই আমার নাম ধরে চিৎকার করছিল। আমার চোখ জলে ভরে গিয়েছিল। ধাতস্থ হতে ডাগ আউটে কিছুটা সময় নিয়েছিলাম। পরে বুঝলাম আমায় একে উপভোগ করতে হবে। মনে হয় ওরা আমাকে ভালবাসে আমি কী, তার জন্য। যা নই, তা কখনও দেখাতে যাইনি।”
এরপর তিনি বলেন, ‘‘সবক’টা ট্রফি স্পেশাল। কিন্তু আইপিএলের ক্ষেত্রে আরও স্পেশাল হল কঠিন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা। আজ যেমন কিছু ভুল হয়েছে। বোলিং ডিপার্টমেন্ট ঠিকমতো কাজ করেনি। কিন্তু ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট সেই চাপটা নিয়েছে।” ধোনি যোগ করেন, ‘‘আমিও মানুষ। অনেক সময় হতাশ হই। কিন্তু তখন ওদের জুতোয় পা গলিয়ে পরিস্থিতি অনুধাবন করার চেষ্টা করি। চাপ একেকজন একেকভাবে নিতে পারে। অজিঙ্ক বা আরও কয়েকজন অভিজ্ঞ। ওদের নিয়ে চিন্তা নেই। আর দলে কেউ যদি হতাশ হয়ে পড়ে, আমার দরজা খোলাই ছিল।”