ধৃতদের দশদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ আদালতের, গাঁজা পাচারের কিং পিন নিশীথের ঘনিষ্ঠ

শুধু এই অমলই নয়, তার উপরের মাথা কে? বিজেপির কোন রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তা নিয়েও তদন্ত চালাচ্ছে এসটিএফ।

Must read

সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : গাঁজা পাচারের ঘটনায় গ্রেফতার নিশীথ-ঘনিষ্ঠ। এই নিয়েই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। মুখে কুলুপ বিজেপি নেতাদের। এর আগে সোনার দোকানে ডাকাতি-সহ নানা মামলায় জড়িত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিক। এবার সেই নিশীথ-ঘনিষ্ঠ কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা সমীর দাস। কফিনে গাঁজা পাচারে পেশায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক সমীর দাস বিজেপি কর্মী বলেও জানা গিয়েছে। সেই সূত্রেই নিশীথ প্রামাণিকের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে গাঁজা পাচারে যুক্ত সমীর দাস। বুধবার গাঁজা পাচারে গ্রেফতার চারজন সমীর দাস, অপূর্ব দে, পাপ্পু মোদক ও সরস্বতী দাসকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। এদিন পুলিশ ধৃতদের হেফাজতে নিতে আবেদন জানায়। আদালত দশদিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছে।

আরও পড়ুন-জকোভিচকে নিয়ে নিন্দায় মুখর ফ্রান্স

গাঁজা পাচারের ঘটনায় নিশীথ প্রামাণিক যুক্ত আছেন কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও এসটিএফ। ইতিমধ্যে এসটিএফ নিশীথ-ঘনিষ্ঠ সমীরকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে। জেরায় সমীর জানিয়েছে, এই আন্তঃ রাজ্য গাঁজা পাচারে কিং পিন হল অমল। যার বাড়ি কোচবিহারের দিনহাটায়। আর এই দিনহাটাতেই নিশীথ প্রামাণিকের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। এসটিএফ সেই অমলের খোঁজ শুরু করেছে। অমলের বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতির মতো অভিযাগ রয়েছে। কয়েকদিন আগে একটি মামলায় আদালতে হাজিরাও দিতে হয়েছিল তাকে। বেআইনি এই গাঁজা পাচারের কান্ডারি অমল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকেরও ঘনিষ্ঠ। এই অমলের জন্য এখন এসটিএফ জাল পেতেছে। প্রাথমিক তথ্য মিলেছে, অমল শুধু উত্তরবঙ্গ জুড়েই গাঁজার বেআইনি ব্যবসা করে না।

আরও পড়ুন-পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াল আইসিসি

ভিন রাজ্যেও, এমনকী বিদেশেও গাঁজা পাচার করে থাকে। উত্তর থেকে অসম, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশে তার পাচার রাজ্য বিস্তৃত বলে অভিযোগ। তবে চার পাচারকারী গ্রেফতার হওয়ার পরই অমলকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ তাঁর ফেসবুক পোস্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রতি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন মঙ্গলবার রাতে। কিন্তু তারপর থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীরব। কেন এই নীরবতা? এই নিয়েই রাজ্য-রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। বিজেপির উত্তরের নেতারাও এ নিয়ে বলা যায় স্পিকটি নট। যদিও এসটিএফ নিরপেক্ষভাবেই তদন্ত চালাচ্ছে। শুধু এই অমলই নয়, তার উপরের মাথা কে? বিজেপির কোন রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তা নিয়েও তদন্ত চালাচ্ছে এসটিএফ।

Latest article