আজ বিশ্ব বাংলা মিলন (Biswa Bangla Milan) মঞ্চে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । কৃতী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চান। এদিন মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেন, উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন সফল করতে চিন্তা করতে হবে না অভিভাবকদের। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অল্প সুদে ঋণ পাবেন পড়ুয়ারা। যার গ্যারান্টার খোদ রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী, যুবশ্রী-সহ তরুণদের জন্য জনহিতকর রাজ্য সরকারি প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাবা-মাকে জমি বিক্রি করে গ্যারেন্টার হতে হবে না, রাজ্য সরকারই আপনার গ্যারেন্টার। রাজ্য সরকারই টাকা জোগাড় করে দেবেন, আপনারা শুধু আবেদনপত্র পৌঁছে দেবেন। দেড় হাজার কোটি টাকা ৫০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে ১০ লক্ষ টাকা করে স্টুডেন্ট কার্ড করে দিয়েছি। যাঁরা টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারছেন না বলে আমাকে চিঠি দিয়েছেন, তাঁদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। টাকার জন্য পড়াশোনার সমস্যা হবে না।’
আরও পড়ুন-মৃতদেহের সঙ্গে ধর্ষণ অপরাধ নয়,জানাল কোর্ট
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই স্নাতকস্তরে তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণদের জন্য ফের ভর্তি চালুর করার কথা বলতে।
আরও পড়ুন-রাজ্যবাসীর বিপুল সমর্থনে আশ্বস্ত তৃণমূল কংগ্রেস, জনজোয়ার প্রসঙ্গে টুইট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্নাতক স্তরে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শিক্ষানীতিতে ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষানীতি চালু প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি অন্যান্য রাজ্য এটা চালু করে এবং আমরা না করি, তাহলে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা পিছিয়ে যাবে।এবছর থেকে পাস কোর্সে স্নাতক করলে তিনবছর এবং অনার্স করলে চার বছর লাগবে। এটা কেন্দ্র থেকে নিয়ম করেছে। তবে মাস্টার্স ডিগ্রি করতে এক বছর লাগবে।’
আরও পড়ুন-ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের একটি বহুতলে
শিক্ষা দফতরে একটি লেটার বক্স করার নির্দেশ দেন এদিন তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, শিক্ষাশ্রী রয়েছে। তারপরেও যদি উচ্চশিক্ষায় যেতে টাকার প্রয়োজন হয় তাহলে ওই লেটার বক্সে আবেদন ফেলে দেবে। সেটা দেখে অবিলম্বে তাঁকে জানাতে হবে বলে শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেউ যেন বঞ্চিত না হয়।’
আরও পড়ুন-দার্জিলিং-গ্যাংটকে রেকর্ড-ভাঙা গরম, কালিম্পংয়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি
এদিন তিনি বাংলার ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রেরণা জাগিয়ে বলেন, ‘আমি কোনও কাজ ফেলে রাখা পছন্দ করি না। যাঁরা আমাকে চিঠি দিয়েছেন, সেগুলি সব আমি দেখে নিয়েছি। আগামী দিনে বিশ্ববাংলার গৌরব, বিশ্বের গৌরব হয়ে উঠবে বাংলার ছাত্রছাত্রীরা। আইসিএসই, সিবিএসই, মাদ্রাসা, ভোকেশনাল থেকে শুরু করে সব জায়গায় আলো ঝরিয়েছে বাংলার ছাত্র-ছাত্রীরা। যে সমস্ত অভিভাবক-অভিভাবিকারা এই ছাত্রছাত্রীদের গড়ে তুলেছেন তাঁদেরও অভিনন্দন।’