প্রতিবেদন : ওড়িশা রেল দুর্ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় মৃত্যু হল ১৭ জনের। তার মধ্যে কাকদ্বীপের মধুসূদনপুরের এক গ্রামেরই মারা গিয়েছেন দশজন। সন্ধে ছটা পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ৪৪ জন নিখোঁজ, গুরুতর জখম প্রায় ১১০ জন। ১৬ জন নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন। জেলা সদর আলিপুরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। মৃতদের মধ্যে সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের একই পরিবারের তিন সদস্য রয়েছেন। তিন ভাই হারান, নিশিকান্ত ও দিবাকর গায়েন। সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক।
আরও পড়ুন-আমটি আমি খাব পেড়ে
অন্ধ্রপ্রদেশে চাষের জমিতে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ জেলার প্রায় ৩৯ জন। আটকে-পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারের পাশাপাশি পরিস্থিতির খোঁজখবর নিতে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ টিম পাঠানো হয়েছে বালেশ্বরে। শনিবার সন্ধের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সিয়াদ এনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বালেশ্বর পৌঁছেছে। মৃত ১১ জন করমণ্ডল ও বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন। মৃতদের মধ্যে বাসন্তী ব্লকের ৬ জন, কাকদ্বীপের দুজন এবং মগরাহাট-১, ক্যানিং-১ ও বারুইপুরের ১ জন বাসিন্দা রয়েছে।
আরও পড়ুন-আমপাতা জোড়া জোড়া
দুর্ঘটনায় আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করে প্রথমে হাওড়ায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখান থেকে যাত্রীদের নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাস, ছোট গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স।