হাওড়ায় (Howrah) আনা হল করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃত চার যাত্রীর দেহ। এদিন তাঁদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সোমবার, নবান্নের (Nabanna) সামনে টোলপ্লাজায় নিহতর দেহ আনা হয়েছে, তাঁদের মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত বাংলার ৯০ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। এখনও ওড়িশার (Orissa) হাসপাতালে অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার ফের কটক ও ভুবনেশ্বরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে শশী পাঁজা ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যাবেন।
আরও পড়ুন-প্রয়াত ‘মহাভারত’-এর ‘শকুনি মামা’ গুফি পেন্টাল
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও বহু যাত্রী ভর্তি আছেন ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে। মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ, ও পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। এছাড়া, আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা ও অপেক্ষাকৃত কম আঘাতপ্রাপ্তদের ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। যে সব যাত্রীদের কোনও ক্ষতি হয়নি কিন্তু ট্রমা মানসিক উদ্বেগে ভুগছেন, তাঁদের এককালীন ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।আগামী ৪ মাস তাঁদের ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সরকারের তরফে দেওয়া হবে চাল, ডাল, তেলও।’
আরও পড়ুন-আগামী পাঁচদিন জারি থাকবে দাবদাহ, কবে বৃষ্টি
এদিন তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনায় যাঁদের হাত-পা বাদ গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।এখনও অন্তত ১২০ জনের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আগে আহতদের পাশে দাঁড়ানো দরকার।’
আরও পড়ুন-আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বিদেশ যাত্রায় বাধা রুজিরাকে, টুইট বার্তায় ক্ষোভপ্রকাশ কুণাল ঘোষের
সিবিআই তদন্ত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমিও জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা, সাঁইথিয়া দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলাম। এত বছর পরও কিছুই হয়নি। এটা সিবিআই-এর কাজ নয়। রেলওয়ে সেফটি কমিশনের বিষয়টা দেখা উচিত। মঙ্গলবার ওড়িশা সফরের পর বুধবার মৃত ও আহতদের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়া হবে।’