প্রতিবেদন : নতুন করে হিংসা ছড়াল মণিপুরে। ঝরল রক্ত। শুক্রবার রাজ্যের কুকি উপজাতি-অধ্যুষিত একটি গ্রামে সংঘর্ষের কারণে এক মহিলা-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম বেশ কয়েকজন। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এদিন ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তৃতীয়জন পরে মারা যান। পাশাপাশি এবার রাজ্য ভাগের দাবি জানালেন বিজেপির ৭ বিধায়ক।
আরও পড়ুন-আজ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল, ত্রিমুকুটের হাতছানি ম্যান সিটির সামনে
এ ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেল যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর শান্তি প্রচেষ্টার চেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে মণিপুরে। দাঙ্গার ঘটনায় এদিনই ৬টি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। একই সঙ্গে তদন্তের জন্য গঠন করেছে সিট। চূড়াচাঁদপুর জেলার কুকি গোষ্ঠীগুলির সম্মিলিত মঞ্চের এক নেতা জানিয়েছেন, আক্রমণকারীরা এদিন জলপাই রঙের পোশাক পরেছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই নেতা বলেন, গ্রামবাসীরা মনে করেছিল, নিরাপত্তা কর্মীরা সেখানে চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালাতে এসেছে। তাই তারা আক্রমণকারীদের সহযোগিতা করেছিল। কিন্তু অচিরেই ভুল ভাঙে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জলপাই রংয়ের পোশাক পরিহিতরা গ্রামে তাণ্ডব চালাতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গেই কাছাকাছি টহলরত নিরাপত্তা কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। উভয় পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়।
আরও পড়ুন-ব্রিজভূষণ দোষী, সরব এবার রেফারিও
এই হামলায় মেইতেই গোষ্ঠীর লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইম্ফল পশ্চিম জেলায় ক্ষমতাসীন দল বিজেপি বিধায়ক এস কেবির বাড়িতে দুই বাইক আরোহী গ্রেনেড ছোঁড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ৩ মে শুরু হওয়া জাতিদাঙ্গায় মণিপুরে এ পর্যন্ত ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। এই সংঘর্ষের ঘটনার জেরে মণিপুর ভাগের দাবি উঠল বিজেপির অন্দরেই। দলের কুকি সম্প্রদায়ের ৭ বিধায়ক রাজ্য ভাগের দাবি তুলেছেন। এ ঘটনায় যথেষ্ট বিপাকে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, কুকি ও অন্য জনজাতি সম্প্রদায়ের ১০ বিধায়কের দাবি, মণিপুর মেইতেই সম্প্রদায়ের দাদাগিরিতে আর তাঁদের পক্ষে এ রাজ্যে থাকা নিরাপদ নয়। এই দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন শাসকদল বিজেপির ৭ বিধায়ক।
আরও পড়ুন-রেল হকারদের নিয়ে লড়াইয়ে আইএনটিটিইউসি
বুধবার স্থানীয় জনতার আক্রমণে গুরুতর জখম হন বিজেপি বিধায়ক, তথা কুকি জনজাতির নেতা ভুংজাগিক ভালতে। তার পরেই রাজ্য ভাগের দাবি। এ ঘটনায় বিধানসভা স্বাধিকার রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান স্বপম নিশিকান্ত সিং ওই ১০ বিধায়ককে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছেন।